hh

যেকোন ভয় দূর করার উপায়

যেকোন ভয় দূর করার উপায়

ভয় বা ইংরেজিতে যাকে আমরা Fear বলি তার যদি Full from করা হয় তাহলে সেটা কিছু এরকম দারায় 

F:- False

E:- Evidence 

A:- Appealing 

R:- Real

পুরোটা একসাথে করলে হয়, False evidence appealing real. অর্থাৎ ভয় বলতে বোঝায় মিথ্যা বা কাল্পনিক এমন কিছু যা সত্যি বলে মনে হচ্ছে৷ এই একটা লাইন যদি কেউ গভীরভাবে বুঝে যায় তাহলে সেখানেই তার ভিতরে থাকা সমস্ত রকমের ভয় গোড়া থেকে শেষ হয়ে যাবে৷ ভয়কে গোড়া থেকে নির্মুল করতে চলুন এই লাইনটার গভীরে যাওয়া যাক৷ 


প্রথমে একটা জিনিস পরিস্কার করে বুঝে নিতে হবে যে Fear আর Danger এই দুটো আলাদা জিনিস৷ Fear সত্যি নয় কিন্তু, Danger সত্যি৷ 

যেমন, আগুনে ঝাপ দিলে পুড়তেই হবে অথবা ১০ তলা বিল্ডিং থেকে লাফ দিলে হাত পা ভেঙে উপরে যেতে হবে৷ 

এগুলোকে Danger বলা হয়, অর্থাৎ যেগুলো চিরন্তন সত্য৷ 

আবার, পরিক্ষা খারাপ হলেই যে ফেল করবো, এগুলো চিরন্তন সত্য না৷ এগুলো হতেও পারে আবার নাও হতে পারে৷ অর্থাৎ বর্তমান দিয়ে বিচার করলে এগুলো শুধু কল্পনা মাএ৷ আর এগুলোকেই Fear বলা হয়৷ 

যেকোন ভয়ের দুটো বৈশিষ্ট্য থাকে 

১ঃ- সেটা সবসময় কাল্পনিক 

২ঃ- সেটা সবসময় ভবিষ্যতে 


এইদুটো জিনিসের বর্তমানে বাস্তব অস্তিত্ব বলতে কিন্তুই নেই, অর্থাৎ Fear ব্যাপার টা সম্পূর্ণ সাইকোলজিক্যাল এবং এটা আমরা নিজেরাই নিজেদের মনের মধ্যে ইচ্ছে করে তৈরি করি৷ কারন ভয়ের মধ্যে সবসময় একটা Thrill থাকে, আর যদি তা না থাকতো তাহলে আমরা টাকা দিয়ে টিকিট কিনে হরর মুভি কেন দেখতে যাই? 

অর্থাৎ এটা আমরা সবাই বুঝি যেকোন ভয়ই হোক না কেন, সেটা কাল্পনিক বা অবাস্তব কিন্তু সমস্যাটা হলো এই সমস্ত কিছু বোঝার পরেও আমরা যখন সেই পরিস্থিতিতে এসে পরি তখন সেই ভয়ই এসে আবার আমাদের মধ্যে উকি মারতে শুরু করে৷ তাহলে এর সমাধান কী?


1:- Realizing the true value

আমি তখনি সবথেকে বেশি ভয় পেয়েছিলাম যখন আমার মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে কারন ক্লাস টেন এর শুরু থেকেই পরিবারের সবাই মিলে এমন একটা ভয় পাইয়ে দিয়েছিল যা থেকে মনে হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল না হলে জীবন শেষ আর কোন পথ থাকবে না জীবনে উন্নতি করার৷ আর আজ সেই মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট অবহেলায় কোন একটা ফাইলে পরে রয়েছে যেটা হয়তো আমার আর কখনো কোন কাজে লাগবে না৷ একটা কাগজ যেটা কিনা আজ মূল্যহীন সেটা নিয়ে আমি রাতের পর রাত দুশ্চিন্তা করে গেছি, রাতের ঘুম নষ্ট করেছি, নিজের শরীরের ক্ষতি করেছি৷ সেই শরীর যেটা কিনা আমার প্রতি মুহূর্তে কাজে লাগছে৷ 

এমব একটা জিনিস যেটার একটা সময় পর আর কেন মূল্য নেই সেটার জন্য একটা আজীবন সবথেকে মূল্যবান জিনিস মানে শরীর সেটা নষ্ট করেছি৷ 

মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবার আগে যদি আমি ভয় না পেয়ে আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে একবার যদি অন্তত ভাবতাম এই রেজাল্ট টার আসলে সঠিক মূল্য ঠিক কতটা, তাহলে হয়তো সেই রাতগুলোতে একটু শান্তিতে ঘুমানে যেতো, কিন্তু দুঃখের বিষয় তখন কেউ ব্যাপার টা এইরকম করে কেউ বোঝায় নি৷ যারা বুঝিয়েছিল তারা শুধু এইটুকুই বুঝিয়েছে, এটা অনেক মূল্যবান, এটা ছাড়া জীবন শেষ আর এটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল তার প্রমান আজ চোখের সামনে৷ 

আপনি যদি একটু মন দিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখেন তাহলে দেখতে পারবেন ৮০% জিনিস যেগুলো আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার সবচেয়ে বড় কারন, কয়দিন বা কয়েক বছর পরেই আপনার কাছে সেইগুলা মূল্যহীন হয়ে যাবে তাই এমন কোন জিনিস যা শুধু তাৎক্ষণিক ভাবে মূল্যবান, সেটার জন্য কোন চিরন্তন মূল্যবান জিনিসের ক্ষতি করাটা একটুও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ 

আরো পড়ুনঃ- অবচেতন মনের সাহায্যে ভয় দূর করবেন যেভাবে

2:- Face it

যখন আমি ছোট ছিলাম তখন রাস্তা দিয়ে যাবার সময় কিছু কুকুর আমাকে তাড়া করে আমিও ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাতে শুরু করি কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না কুকুর আরো আমাকে তাড়া করছে৷ আমি যত তাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ততই আমার পিছন পিছন আসছে৷ একদিন আবারো আমার পিছু নিলো কুকুর গুলো আর আমিও সামনে এগোতে শুরু করলাম হঠাৎ একটা লোক পাশ থেকে বলে উঠলো আরে ওদের যত ভয় পাবে ওরা তোমাকে ততই ভয় দেখাবে আর তোমার পিছু পিছু তাড়া করবে, সাহস করে একবার ওদের দিকে ঘুরে দাড়াও দেখবে ওরা আর তোমার পিছু নিবে না৷ 

আমিও সাহস করে ওদের সামনাসামনি হলাম আর কুকুর গুলো আমার পিছু নেওয়া বন্ধ করে দিল আর তখন থেকেই আমি আর কুকুরকে ভয় পাই না৷ 

হয়তো আপনি আগেও এই কথাটা জানেন কিন্তু সমস্যা টা হলো, আমরা সব শুনি, বুঝি কিন্তু কাজে লাগাই না আর এটাই আমাদের বদলাতে হবে৷ 

যেকোন ভয় এই কুকুর গুলোর মতোই আপনি যত তাদের থেকে পালাতে চাইবেন তারা ততোই আপনার পিছু নিতে থাকবে কিন্তু আপনি একবার যদি সেগুলোর দিকে সাহস করে ঘুরে তাকান ঠিক তখনি সেগুলো আপনার থেকে দূরে পালাতে শুরু করবে৷ 


জীবনে যেকোন রকমের Fear এর ক্ষেএে সবসময় আপনার কাছে দুটো অপশন থাকবে, 

1:- Forget everything and run

2:- Face everything and rise

এবার চয়েজ আপনার৷ 

জীবনে আপনি যেকোন ভয়ের সম্মুখীন হন না কেন এই দুটো পদ্ধতি, Realizing the true অর্থাৎ সেই জিনিস টার সঠিক মূল্যটা বুঝা এবং Face it অর্থাৎ সেটার সম্মুখীন হওয়া, এইদুটোর মধ্যে যেকোন একটা পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি যেকোন ভয়কে দূর করতে পারবেন৷ 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad