আমি, অ্যাবি চেজ৷ দূর্লভ আর্টিফেক্ট খুজে বের করাটা আমার নেশা ও পেশা৷ দূর্লভ আর মহা মূল্যবান৷ এসব আর্টিফেক্ট নিজের দখলে নেবার জন্য খুনাখুনি পর্যন্ত হয়ে যায়৷ যদিও প্রতিবার শেষ পর্যন্ত আর্টিফেক্ট আমার হাতেই আসে৷ এ এক অন্য ধরনের নেশা৷ পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগের চেয়েও ভয়ানক৷ আমাদের একটা গুপ্ত সংগঠন রয়েছে যার নাম ডেঞ্জার গার্ল৷
বিপদজনক সব কাজ যা অন্য কেউ করার কথা চিন্তাও করেনা সেগুলো আমরা করে থাকি৷ অবৈধ ড্রাগ ডিলারদের শায়েস্তা করি৷ কিংবা ইজরায়েলী মরনাস্ত কারখানায় হামলা৷ ডেঞ্জার গার্লে যোগ দেবার আগে আমও একাই এইসব বিপদজনক কাজ করতাম৷ একবার তো মায়ানদের এক মন্দির থেকে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের এক নীল হীরে হাপিশ করে দিয়েছিলাম৷
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পাথর গুলোর মধ্যে ওটা একটা ছিল৷ মেক্সিকান পুলিশ আমাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল৷ ব্যাস আর যায় কোথায়! ছোট বড় সব মাফিয়া গ্রুপ গুলোর কাছে রাতারাতি আমি মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টের এক নম্বরে চলে আসলাম৷ টাকার অংকটা এত বড় ছিল যে আজ পর্যন্ত এর লোভ ছাড়তে পারছে না অনেকে৷
তবে কিছুদিনের জন্য ঔই বদমায়েশ গুলোকে দূরে রাখার একটা সুযোগ আমার কাছে হঠাৎ করেই চলে আসলো৷ জেনারেল কেজ এর একটা ছোট্ট উপকারের বিনিময়ে আমি ক্লিন সার্টিফিকেট পেয়ে যেতে পারি৷ জেনারেলের ভাইকে দুর্ঘম এক জায়গা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে হবে৷ আমার জন্য বলতে গেলে সেটা একদম হাতের ময়লা৷ তাই আগেপিছে চিন্তা না করে রাজি হয়ে গেলাম৷
ব্যাপারটা হলো জেনারেলের ভাই কালো জাদুর একটা দুর্লভ বই সহ মরক্কান এক গুন্ডা বাহিনীর হাতে ধরা পরে গেছে৷ মুক্তিপন হিসেবে ওরা স্পেনের জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া দুর্লভ ও প্রচুর দামি খাটি সোনার তৈরি একটা তাবিজ দাবি করছে৷ আমার কাছেই যে ওটা আছে সেটা জেনারেল কেজ তার এক গুপ্তচর মারফত জানতে পারে৷
সাহায্য করলে অবশ্য লাভটা আমারই৷ তাই আর দ্বিমত করিনি৷ আমার সাথে এই মিশনে জেনারেল খাসের কিছু লোকও আছে৷ নরকের কীট একেকটা৷ হত্যা, ধর্ষন আর লুটপাট এদের দৈনন্দিন কাজ৷ মিশনে দু'একটা পটল তুললে দেশ ও দশের তাতে উপকারই হবে৷
নিউ ইর্য়ক
স্টিফেনীঃ- একটা ফোন কিন্তু চাইলে করতেই পারিস
ভ্যালঃ- কাকে? জিমিকে? হাহ ! আমার মত বােরিং কাউকে ও পাত্তাই দিবে না৷
লরেনঃ- আরে তুই একবার চেষ্টা করেই দেখ৷ আর কিছু হােক, তাের মত ভালাে ছাত্রী আর কটা আছে? আরে আমরা আছি না?
ভ্যালঃ- হবে নারে, হবে না৷
স্টিফেনীঃ- ঠিক৷ দেখবি এমনভাবে জাল ফেলবো যে মাছ ধরা পড়বেই পড়বে৷ তুই শুধু আমাদের একটু সময় দিবি এর পর দেখ খেলা কাকে বলে৷
লরেনঃ- কিন্তু তোকেই তো পাওয়া যায় না আজকাল৷ মাঝে মাঝে কোথায় যে গাযেব হয়ে যাস, কেউ কিছু জানে না৷ আচ্ছা লুকিয়ে যাস কোথায় বলতো!
ভ্যালঃ- কিযে বলিস তোরা, লুকিয়ে থাকবো কেন?
স্টিফেনীঃ- কিরে তোর ফোন এসেছে মনে হয়, রিসিভ কর৷
লরেনঃ- দেখ মনে হয় জিমি ফোন করেছে৷
ভ্যালঃ- না জিমি না৷
ভ্যাল ফোনটা নিয়ে একটু দুরে সরে গিয়ে বললো, "না না না তুমি আমাকে ফোন দিতে পারো না৷ এটা অসম্ভব৷ তোমার তো এখন ছুটিতে থাকার কথা"৷ তুমি না ছুটি কাটাতে মাউন্ট ডির্সাটে গিয়েছো? ভ্যাল বললো অ্যাবিকে,৷ উওরে অ্যাবি বললো, " ভ্যাল আমাকে দেখে তাই হচ্ছে? আমার পিছনে গোলাগুলি চলছে সেটা দেখতে পাচ্ছ না চোখে নাকি, কান্না বন্ধ করে আমাকে সাহায্য করো"৷ "আমি খালি দেখতে পাচ্ছি আগামী বেশ কিছুদিনের জন্য শান্তি শেষ আমারা" বললো ভ্যাল৷
হঠাৎ গাড়ি নিয়ে একটা লোক ভ্যাল এর সামনে এসে দাড়ালো৷ ডিউজ! মানে আঙ্কেল ডিউজ, আপনি এখানে৷ ভ্যাল যাবার সময় হয়েছে, বললো ডিউজ৷ পাশ থেকে স্টিফেনী বলে উঠলো "ভ্যাল, তোর আঙ্কেল কিন্তু অনেক হটটট"৷ স্টিফেনী, লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছিস দেখছি, বলে গাড়িতে উঠে গেল ভ্যাল৷ ওপাশ থেকে ফোনের ভিতর থেকে অ্যাবি বলে বললো, "ভ্যাল, ডিউজ, খুব বেকায়দায় আছি আমি৷ আমার সাহায্য দরকার যেভাবেই হোক৷
যত দ্রুত সম্ভব কিছু একটা কর৷ ডিউজ গাড়ি চালাচ্ছে আর পাশ থেকে ভ্যাল বললো, "তোমার লোকেশনটা আমাদের জানাও, আর কতক্ষণ হেলিকপ্টার টা টিকবে"৷ "বেশিক্ষণ না৷ এটার অবস্থা অনেক খারাপ" বললো অ্যাবি৷ ডিউজ পাশ থেকে বললো "মরক্কানরা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে বলতে পারো? "রাইফেল, মিসাইল, রকেটগান যে যেটা সামনে পাচ্ছে৷ সালারা পুরো পাগল হয়ে গেছে৷ কিছু একটা পাঠাও জলদি, জবাব দিল অ্যাবি৷ " কী ধরনের অস্ত্র তোমার লাগবে বলো? অ্যাবি? অ্যাবি? ও খোদা কানেকশন কেটে যাচ্ছে৷ ভ্যাল কানেকশন হারিয়ে ফেলেছে৷
আমার সিগনাল খুব দ্রুত কমে আসছে৷ তাড়াতাড়ি জেনারেলের ভাইকে খুজে বের করতে হবে৷ সামনে আগাও এক্ষুনি৷ অ্যাবি তার সাথে থাকা সহকারীকে বললো৷ "তার আগে তুমি যদি ওদের মিনি গানের একটা ব্যবস্হা করতে পারতে" বললো অ্যাবির সহকারী৷ মিনিগান? কোথায়? অ্যাবি একথা বলতে না বলতেই মিনিগানের ফায়ার শুরু হয়ে গেল তাদের উপর৷
এর মধ্যেই তাদের কানেকশন ফিরে এসেছে৷ অ্যাবি? কিসের আওয়াজ হলো ওটা? ডিউজ জিজ্ঞেস করলো৷ অ্যাবি বললো, "মিনিগান৷ সালারা মিনিগান নিয়ে মাঠে নেমেছে ডিউজ৷ জলদি টার্গেট লক করো অ্যাবি৷ "করে দিলাম৷ আশেপাশে আমাদের কোন বন্ধু আছে ডিউজ? অ্যাবি জিজ্ঞেস করলো৷ বন্ধু? তারচেয়েও বেশি৷ পুরনো একটা যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে এডমিরাল কক্স তৈরি হয়ে আছে৷ এডমিরাল কক্সকে এর আগে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করেছি আমরা৷ এবার তার পালা" বললো ডিউজ৷
অ্যাবি, "তাড়াতাড়ি করো ডিউজ৷ মিনিগানের পরে হয়তো ওরা ট্যাংক নিয়ে হাজির হবে৷ লড়বার মতো যথেষ্ট পরিমান গোলাবারুদ নেই আমার কাছে৷ "চিন্তা করো না৷ একটা ড্রোন পাঠাচ্ছে ওরা স্পেশাল এয়ার মেশিনগান সহ৷ ৯০ সেকেন্ড পৌঁছে যাবে" বললো ডিউজ৷
"এখন কী করবে অ্যাবি? আমরা কিভাবে লড়াই করবো? আমাদের সব অস্ত্র, গোলাবারুদ ওই হেলিকপ্টারের সাথে ধ্বংস হয়ে গেছে, কিভাবে ওই মেশিনগানকে ফাকি দিয়ে জেনারেলের ভাইকে উদ্ধার করবো আমরা হ্যা" সেটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না৷ অ্যাবি উওর দিল৷ এর মধ্যেই এডমিরাল এর পাঠানো ড্রোন এসে সব কিছু ধ্বংস করে দিল মিসাইল দিয়ে৷
অ্যাবি এখন জেনারেলের ভাইকে খুজছে৷ অ্যাবি, "হ্যালো? কেউ আছে এখানে? হঠাৎ করে একটা কন্ঠ ভেসে আসলো, অ্যাবি? অ্যাবি চেজ? "আমার নাম জানলে কী করে তুমি" অ্যাবি জিজ্ঞেস করলো জেনারেলের ভাইকে৷ "কালো জাদুর ঐ বই কোথায় আছে সেটা জানলে তুমি যে লোভ সামলাতে পারবে না, সেটা আমি জানতাম" বললো জেনারেলের ভাই অ্যাবি কে৷ অ্যাবি, কালো জাদু, সাদা জাদু, কোন জাদুর বইতেই আমার কোন আগ্রহ নেই৷ আমি ওই সোনার তাবিজ নিয়ে এসেছি৷ এটা দিয়ে তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো৷ অ্যাবির কথা শুনে জেনারেলের ভাইকে তার দিকে চেয়ে বললো, "ঐ তাবিজ সত্যি সত্যি তাহলে ছিল এতদিন তোমার কাছে?
জ্বি জনাব, আমার কাছেই ছিল, এটা দিয়ে তোমাকে ছাড়িয়ে নিতে এসেছিলাম আমি, তবে মেহমানদারির যেই নমুনা চোখে পড়লো, তাতে এটা হাতছাড়া করার ইচ্ছে আমার চলে গেছে" অ্যাবি এটা বলে জেনারেলের ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাকে প্রশ্ন করলো, "তোমাকে যারা কিডন্যাপ করেছিল তারা কোথায়? উওরে বললো, "জান, প্রান নিয়ে ভেগেছে যখন মিনিগান ধ্বংসের আওয়াজ শুনতে পায়৷ " তা বইটা কোথায়? জিজ্ঞেস করলো অ্যাবি৷ "এখানেই ছিল৷ আমার কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নিয়ে গেছে ওরা, তবে একটা পৃষ্ঠা অবশ্য আমার হাতেই রয়ে গেছে ছিড়ে" বললো জেনারেলের ভাই৷
ছিড়া পৃষ্ঠা টা অ্যাবির হাতে দিল, অ্যাবি পৃষ্টাটা দেখে বললো, "হায় খোদা, এটা আমি কী দেখছি! তাহলে এটা ঔই বইয়ের৷ " তুমি ঠিকই ধরেছো মিস চেজ৷ আমি জানি তুমি এই বইয়ের জাদুকরী ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত৷ আর ছেড়া এই পাতাটা আমাদের ওই বই খুজতে সাহায্য করবে৷ তুমি আর আমি, দুজন একসাথে কাজ করবো কী বল! অ্যাবিকে বললো জেনারেলের ভাই৷
উওরে অ্যাবি বললো, "না৷ জেনারেল কেজ এর সাথে আমার চুক্তি মোতাবেক তোমাকে জীবিত নিয়ে যেতে এসেছি আমি"৷
এটাকে ভয় পাবার মতো কিছু নেই৷ সোনার তাবিজ এখানে আনার বুদ্ধি মরক্কান গুলোকে আমিই দিয়েছিলাম৷ এই তাবিজ ওই কালো জাদুর শক্তি থেকে আমাদের রক্ষা করবে৷ কিন্তু বইটা যে করেই হোক আমাদের উদ্ধার করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব৷ ওরা যদি একবার ঐ ভয়ানক কালো শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে পারে তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে মিস চেজ৷ জেনারেলের ভাইয়ের কথা শেষ হতে না হতেই অ্যাবির সহকারী তাকে গুলি করে মেরে ফেলে আর অ্যাবিকে বন্দি বানিয়ে নেয়৷
অ্যাবি, "জীবন বাজি রেখে ওকে উদ্ধার করলাম আমরা আর তুমি ওকে মেরে ফেললে? কেন? আমাকে মেরে পুরস্কারের লোভে? আমার মাথার মূল্য কী এতই বেশি? তার সহকারী তাকে জবাব দিল, " জেনারেলের ভাইকে মেরেছো তুমি৷ তোমার মাথার মূল্য এখন দ্বিগুণ হয়ে গেছে অ্যাবি চেজ৷
"আমার সাথে বেইমানি করে পার পাবে না তুমি৷ আমার লোকেরা তোমার চামড়া তুলে জুতা বানাবে" উওর দিল অ্যাবি৷
"সে দেখা যাবে৷ তুমি বলো এখানে কী লেখা আছে? কালো জাদুর ওই বইটা দিয়ে আমি কিভাবে নড়কের পিচাশ গুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারবো" বললো তার সহকারী৷
অ্যাবি, "অনেক বড় ভুল করছো তুমি৷ পরে পস্তাতে হবে তোমাকে৷ অ্যাবির কথা না শুনে তার মাথার বন্দুকের নল ঠেকিয়ে তার সহকারী বললো, "চুপ কর হারামজাদি৷ বল কী লেখা আছে এখানে? নাহলে এক্ষুনি বিচি একটা ঢুকিয়ে দিব ভিতরে৷
তার কথা শুনে অ্যাবি বই পড়তে লাগলো৷ একসময় তার সহকারী কিছুই বুঝতে না পেরে তাকে বললো, "আমি বাংলায় জানতে চাচ্ছি৷ কী হবে এইটা দিয়ে? কী পাওয়া যাবে ঐই বইতে" একথা বলতেই সে লক্ষ্য করলো তার হাত ফুলে যাচ্ছে, তার হাত একটা সয়তানের হাতে রুপান্তর হয়ে গেছে৷ সে তখন চিৎকার করছে কিন্তু তাতে কিছুই হচ্ছে না৷ কিছুসময় পর তার পুরো শরীর কেমন জানো নীল রংয়ের হয়ে গেল এবং সে বিস্ফোরণ হয়ে মারা গেল৷ অ্যাবি দুরে গিয়ে উড়ে পড়লো, তার বললো, "ভ্যাল লাইনে আছো এখনো? এখান থেকে উদ্ধার পাই কী করে? ওপাশ থেকে ভ্যালের শব্দ আসলো, "একটা হেলিকপ্টার তোমাকে নিতে আসছে শীগ্রই৷ তুমি ঠিক আছো তো অ্যাবি?
উওরে বললো, " হ্যা, আমি ঠিক আছি৷ কিন্তু সামনে অনেক বড় একটা বিপদ ঘনিয়ে আসছে আমাদের সবার জন্য! ভয়ানক এক বিপদ৷ ঔই বইটা, ওটা হলো নেক্রোনমিকন এক্স-মর্টিস৷ এর অর্থ হলো নরকের শয়তান৷ ঐ বইয়ের কালো শক্তির প্রভাব অনেক বেশি৷ তবে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো বইটা যে কোথায় আছে সেইটাই তো জানি না৷ খালি একটা ছেড়া পাতা আমার কাছে রয়ে গেছে৷ এটা দিয়ে কী করবে? দাড়াও, দাড়াও লেখাগুলো কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে৷ হায় খোদা লেখাগুলো সব উদাও হয়ে গেছে, আর তার জায়গায় একটা ছবি ভেসে উঠেছে! একটা লোকের ছবি!
"লোক? কে সে? তুমি চিনতে পেরেছো? এখন আমরা কী করবো" জিজ্ঞেস করলো ভ্যাল৷
উওরে অ্যাবি বললো, "আমি জানিনা ভ্যাল কে এই লোক, তবে যে করেই হোক ওকে খুজে বের করতে হবে আমাদের৷
চলবে.......
লেখকঃ- Andy Hartnell
অনুবাদ ও সংলাপঃ- অহর আরসালান
গল্পটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং জানাবেন কেমন হয়েছে৷ ২য় পর্ব পড়তে হলে অবশ্যই জানাবেন আমাদের তাহলে খুব শীগ্রই পোস্ট করা হবে৷ আর অবশ্য আমাদের সাথে থাকবেন৷ ফেসবুক পেইজ
Related
Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog