hh

কোন কিছু তাড়াতাড়ি শেখার সহজ উপায়

কোন কিছু তাড়াতাড়ি শেখার সহজ উপায়

আমাদের জীবনে আমরা যা কিছুই শিখতে চাই না কেন, সেটা আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিখতে চাই৷ আমরা যাই শিখি না কেন, আমরা চাই নুন্যতম সময়ের মধ্যে যাতে সেটাকে আয়ত্ব করতে পারি৷ কোন কিছু তাড়াতাড়ি শেখার উপায় নিয়ে আজকে কথা বলবো৷ 


1:- Learn from an actual experts 

আপনি যেটাই শিখতে চান না কেন, সেই কেউ না কেউ থাকবেই যে কিনা সেই কাজটায় Expert.  তাই কোন কিছুতে দক্ষ হওয়ার সবথেকে দ্রুততম উপায় হলো এমন কাউকে খুজে বের করা যে ইতিমধ্যেই আপনি যে জায়গায় পৌঁছাতে চান সেই জায়গায় সে আরো আগেই পৌঁছে গেছেন এবং তার কাছ থেকে খুজে বের করতে হবে সে কিভাবে এখানে এসেছেন এবং নিজের যাএা টাকে সেই আদলে ঘড়ে তুলতে হবে৷ 

যদি আপনি এমন কাউকে ব্যাক্তিগত ভাবে না চিনে থাকেন যিনি কিনা আপনি যেইটা শিখতে চান সে ব্যাপারে দক্ষ না তাহলেও কোন অসুবিধা নেই৷ আপনাকে শুধু একটু রিসার্চ করতে হবে৷ নিজের চেনা পরিচিত কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন বা অনলাইনে সার্চ করতে পারেন এবং আপনি দেখবেন কিছু লোকের নাম বার বার উঠে আসবে যাদের আপনি চাইলেই Study করতে পারেন৷ 

বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে হাজার রকমের উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি একজন অভিজ্ঞ মানুষ এর কাছ থেকে কোন কিছু শিখতে পারেন৷ শুধু আপনার ইচ্ছে থাকাটা দরকার৷ 

2:- Learn from multiple sources

বিভিন্ন রিসার্চ থেকে জানা গেছে, আমরা যত বেশি একটা তথ্য সম্পর্কে দক্ষতা লাভ করি ততো বেশি ভালভাবে সেটা আমাদের মনে থাকে৷ কেন?

কারন Different media আমাদের different brain পার্টসকে সন্ক্রিয় করে৷ যখন আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ একই জায়গায় কাজ করে তখন আমরা একটা তথ্যকে ভালভাবে ধরে রাখতে পারি এবং কোন কিছু তাড়াতাড়ি মুখস্ত করে দিতে পারি তাই শুধু নিজের skill রিলেটিভ বই বা আর্টিকেল পড়া থেকে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে যদি আমরা সেই Skill রিলেটেড অডিও ভা ভিডিও দেখি বা সেই Skill টা প্রাকটিস করার জন্য কোন মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহার করি, এমনকি যেটা শিখলাম সেটা নিয়ে কোন নোট রাখি তাহলে সেটাও অনেক বেশি ভাল রেজাল্ট দিতে সক্ষম৷ 

সবসময় চেষ্টা করা উচিত শেখার সময় যতটা সম্ভব ৫টা Sence কে কাজে লাগিয়ে জিনিসটা শেখার এতে শেখাটা দ্রুত এবং ভাল কার্যকরী হয়৷ 


3:- 30% Research 70 Practice 

আপনি সারাদিন ধরে একটা ফুটবলকে কিভাবে কিক করতে হয় সেই ব্যাপারে পড়তে পারেন, কিন্তু আপনি যখন মাঠে নামবেন তখন প্রথম বারেই আপনি পারফেক্ট কিক মারতে পারবেন না৷ আপনি হয়তো এই কথাটা আগেও শুনেছন, Practice makes perfect. 

আমাদের মস্তিষ্ক প্রাকটিস করার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে, শোনার মধ্যে দিয়ে নয়৷ আপনি যখন একটা প্যারাগ্রারাফ চান, তাহলে ৩০% সময় সেটার পড়ার পিছনে এবং ৭০% সময়, সেটা মুখস্ত হয়েছে কিনা সেটার পিছনে ব্যায় করা সবথেকে ভাল৷ 

থিওরি পার্ট টুকু আমাদের দরকার শুধুমাএ নিজের ভুলগুলোকে ধরতে পারার জন্য এবং সেগুলোকে নিজে থেকে সঠিক করে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে নেওয়ার জন্য৷ একবার সেই পয়েন্টে পৌঁছে গেলে বেশির ভাগ সময়টা তখন প্রাকটিস করার মধ্যে ফোকাস করা উচিত৷ 


4:- Get immediate feedback 

Malcolm Gladwell এর Outliers বই অনুযায়ী ১৯৬০ সালে লিভারপুলে তৈরি হওয়া ইংরেজি রক ব্যান্ড The Beatles কে শুধুমাএ তাদের প্রাকটিস অন্যসব ব্যান্ড থেকে তাদের আলাদা করে নি তারা তাদের পারফরম্যান্স এর ব্যাপারে Immediate feedback পাওয়ার জন্য যতবেশি সম্ভব তারা লাইভ অডিয়েন্স এর সামনে এসে পারফরম্যান্স করতো আর এটাই তাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চাবিকাঠি ছিল৷ 

আপনার Skill এর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন জায়গা থেকে Feedback আসতে পারে৷ এটার মূল সুবিধাটা হলো, আপনি এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি যে ভুল গুলো করছেন সেগুলো জানতে পেরে যাবেন৷ যত তাড়াতাড়ি আপনি Feedback পাবেন ততো তাড়াতাড়ি আপনি নিজের ভুলগুলোকে সংশোধন করে ঠিক করে নিতে পারবেন৷ 


5:- Give yourself deadlines 

Parkinson's law নামে একটা Law রয়েছে আর এই Law তে বলা হয়েছে, Work expands so as to fill the time available for it’s completion

আপনার পরিক্ষার কথা মনে আছে? যখন আমরা শুনি যে সামনের মাসে পরিক্ষা শুরু হবে ঠিক তখন থেকেই আমরা মন দিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দেই কিন্তু তার আগেও আমাদের কাছে অনেক সময় ছিল পড়ার আর হ্যা এটাকেই Parkinsons law বলে৷ 

আমাদের হাতে যতবেশি সময় থাকে আমরা সেই কাজে ততো বেশি আলসেমি করতে থাকি৷ এবার Parkinson law টাকে নিজের আয়ত্তে আনতে হলে আপনার নিজের জন্য একটা Deadline ঠিক করতে হবে৷ যদি আপনি কোন কিছু শেষ করার জন্য নিজেকে কম সময় দেন সেক্ষেত্রে আপনি সেটাকে আরো বেশি ভাল করে করতে পারবেন এবং এতে আপনার সময় কম নষ্ট হবে৷ 

6:- Don’t quite after the honeymoon phase 

আমরা যখন নতুন কিছু শিখি তখন আমরা একটা অবস্থায় প্রবেশ করি যেটাকে অনেকে Honeymoon phase বলেন৷ এইসময়ে যেহেতু আমরা নতুন কিছু অনুশীলন করি তাই আমরা আমাদের মাঝে ডোপামিন এর হ্রাস অনুভব করতে থাকি৷ 

অন্যভাবে বলা যায় আমাদের প্রোগ্রাম টাই এমন ভাবে করা যাতে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিস খুজে বের করার সন্ধানে লেগে থাকি কারন নতুন কিছু খুজে পেলেই আমাদের মাঝে ভাল অনুভূতি সঞ্চার হয়৷ 

যখন এই Honeymoon phase fade হয়ে যায় তারপর আমরা যে Stage টাকে Experience করি তাকে বলা হয় The Dip. এই স্টেটে আমাদের Progress low হতে শুরু করে আর আমরা চিন্তিত হয়ে পরি আর যার ফলে আমাদের মাঝে অনেকেই Quit করে ফেলে৷ 

তাহলে এখন প্রশ্ন টা হলো এটাকে কিভাবে Overcome করা যায়?

মনে রাখবেন কোন কিছু শিখতে গেলে ১০ হাজার ঘন্টার প্রাকটিসের প্রয়োজন হয় না৷ কোন কিছুতে ভাল হতে গেলে মাএ ২০ ঘন্টার ফোকাস ডেলিভারির প্রাকটিস যথেষ্ট৷ তাই একবার প্রাকটিস শুরু করলে আপনাকে কমহলেও ২০ ঘন্টার প্রাকটিসেসর কমিটমেন্ট করতে হবে আর তার আগে Quit করার কথা একটুও ভাববেন না৷ 

যদি আপনি প্রতিদিন ৪০ মিনিট করে একমাস প্রাকটিস করেন তবেই সেটা ২০ ঘন্টার সমান হয়৷ 

এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলেই আপনি যেকোনো কিছু খুব তাড়াতাড়ি নিজের মধ্যে আয়ত্ত করে নিতে পারবেন৷ 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad