hh

মানুষ কেন বিভিন্ন রকম হয়

মানুষ কেন বিভিন্ন রকম হয়

Carol Dweck এর বই Mindset: The New Psychology of Success থেকে আলোচনা করবো "মানুষ কেন বিভিন্ন রকম হয়"

আদিকাল থেকেই মানুষ পরস্পরের থেকে ভিন্নভাবে ভেবেছে, কাজ করেছে ও ফল পেয়েছে৷ নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে কেউ না কেউ জানতে চাইবে, মানুষ কেন বিভিন্নরকম হয়, কেউ বেশি স্মার্ট বা বেশি নৈতিক হয়, যেখানে এমন কিছু আছে, যা তাকে স্থায়ীভাবে ভিন্ন করে দিতে পারে৷ 

আরো পড়ুনঃ- কী কারনে মানুষ পাগল হয়

বিশেষজ্ঞরা দুই পক্ষেই মত দিয়েছেন৷ কেউ বলেছেন জোরালাে শারীরিক ভিত্তিতে এই তফাৎ সৃষ্টি হয়েছে যেগুলাে প্রত্যাখ্যান বা পরিবর্তন করার মত নয়৷ এই পার্থক্যগুলাে করােটির স্ফীতি ( ফ্রেনােলজি ), খুলির আকার ও আয়তন ( ক্রেনিওলজি ) এবং জিনের জন্য হয়৷ অন্যরা মানুষের অতীত, অভিজ্ঞতা, ট্রেনিং বা শেখার প্রক্রিয়ার কারণে এই জোরালাে পার্থক্য হয় বলে মত দিয়েছেন৷ 

একথা জেনে আপনারা অবাক হবেন যে আই কিউ টেস্টের আবিষ্কারক আলফ্রেড বিনেট এ বিষয়ে স্বীকারােক্তি দিয়েছেন৷ আই কিউ টেষ্ট মানে একটি বাচ্চার অপরিবর্তনীয় বুদ্ধিমত্তা নয় কি মূলত: না৷ বিংশ শতকের শুরুতে ফ্রেঞ্চের নাগরিক বিনেট- যিনি প্যারিসে কাজ করতেন, এই টেস্টের ডিজাইন করেছিলেন প্যারিস পাবলিক স্কুলের সেইসব বাচ্চাদের জন্য যারা স্কুলে ভাল করতে পারছিল না, তাদেরকে যেন নতুন শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে পড়াশুনায় ফেরানাে যায়৷

 

বাচ্চাদের বুদ্ধিমত্তায় ব্যক্তি স্বাতন্ত্রকে অস্বীকার না করে তিনি বলেছিলেন শিক্ষা ও চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তায় কিছু মৌলিক পার্থক্য আনা যায়৷ তার ‘মডার্ণ আইডিয়াস এবাউট চিলড্রেন" বইয়ের কিছু পংক্তি এখানে দেয়া হল যেগুলােতে তিনি যেসব বাচ্চা পড়াশুনায় সমস্যাক্রান্ত হয়, তাদের সাথে কাজ করার বিষয়গুলাে সারসংক্ষেপ করেছেন৷ কিছু আধুনিক দার্শনিক ... জোর দিয়ে বলেন যে ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা হল স্থির একটি পরিমাণ, সেটাকে বৃদ্ধি করা যায় না৷ 

আরো পড়ুনঃ- দুশ্চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব সমূহ

এই নিষ্ঠুর নৈরাশ্যের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানাই ... চর্চা, ট্রেনিং ও সর্বোপরি পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে আমরা মনোেযােগ, স্মৃতি, বিচারব্যবস্থা এবং আক্ষরিক অর্থে ত্যাগের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারি৷ কে সঠিক? বর্তমানে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বলেন যে এটা বা ওটা কোনটাই ঠিক নয়৷ এটি বৈশিষ্ট্য বা লালন নয়, জিন বা পরিবেশ নয়৷ 

নানারকম মতবাদের ভিত্তিতে এই দুইয়ের মধ্যে নিরন্তর দেয়া - নেয়ার সম্পর্ক চলেই যাচ্ছে৷ মূলত: প্রখ্যাত নিউরােসাইনটিষ্ট গিলবার্ট গটলিব বলেছেন- আমাদের উন্নয়নে কেবল জিন ও পরিবেশ যে সহায়তা করে, তা নয়- জিন সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পরিবেশ থেকেও কিছু জিনিষ নেয় একই সাথে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে আজীবন মনে রাখা ও ব্রেনের উন্নয়নের জন্য তারা যা ভেবেছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা মানুষের আছে৷ 

অবশ্যই প্রতিটি ব্যক্তির একটি অসাধারণ বংশানুক্রমিক বুদ্ধিমত্তা আছে৷ মানুষ বিভিন্ন মেজাজ ও দক্ষতা নিয়ে শুরু করতে পারে, তবে একথা স্পষ্ট যে অভিজ্ঞতা, ট্রেনিং ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা তাকে বাকী পথ টেনে নিয়ে যাবে বুদ্ধিমত্তার বর্তমান গুরু রবার্ট স্টার্ণবার্গ লিখেছেন যে মানুষ “নির্দিষ্ট কিছু প্রাথমিক ক্ষমতার কারণে নয়, অর্থপূর্ণ কার্যক্রমের কারণে "শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে কিংবা তার পূর্বসুরী বিনেট বলেছেন শেষ পর্যন্ত তারাই সবসময় সবচেয়ে স্মার্ট থাকে না যারা শুরুতে সবচেয়ে স্মার্ট ছিল৷ 

আরো পড়ুনঃ- জীবনে ব্যর্থতার ৩০টি কারন

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad