hh

দুশ্চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব সমূহ

দুশ্চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব সমূহ

Dale Carnegie এর বই "How to Stop Worrying and Start Living" থেকে আলোচনা করবো 'দুশ্চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব সমূহ'

চিকিৎসাশাস্ত্রে নােবেল পুরস্কার বিজয়ী বিখ্যাত ডঃ আলেক্সিস ক্যারেল বলেছেন, যে ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তা কি ভাবে জয় করতে হয় জানে না তাদের অল্প বয়সেই মৃত্যু হয়৷ কেবল ব্যবসায়ীরা নয়, গৃহিণী, খোড়ার ডাক্তার, রাজমিস্ত্রিদের বেলাতেও একই কথা৷ কবছর আগে আমি টেক্সাস আর নিউ মেক্সিকোতে মােটরে চড়ে বড় মান্টাফে রেলওয়েজের ডঃ ও এফ. গােবারের সঙ্গে ছুটি কাটাই৷ 

আমরা আলােচনা করতে করতে দুশ্চিন্তার কথা উঠতেই তিনি বললেন, “ডাক্তারের কাছে আসা রােগীদের শতকরা সত্তর ভাগই তাদের রােগ নিরাময় করতে পারত যদি তারা ভয় আর দুশ্চিন্তা দূর করতে পারত৷ তবে মনে করবেন না তাদের রােগটা কাল্পনিক বলছি৷ দাঁত ব্যাথা এবং আর ও শতগুন বিপজ্জনক রােগ তাদের হয় কথাটা ঠিক৷ 

আরো পড়ুনঃ- জীবনে ব্যর্থতার ৩০ টি কারন

যেমন পাকস্থলীর আলসার, নিদ্রাহীনতা, কোন ধরনের পক্ষাঘাত ইত্যাদি৷ ‘ভয় থেকেই আসে দুশ্চিন্তা৷ দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে স্নায়ুর বিকৃতি দেখা দেয় আর সেটা পাকস্থলীর স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ করে, পাচক রসে বিকৃতি ঘটে আর শেষ অবধি আলসারে দাঁড়ায়৷ 

আর একজন চিকিৎসক, স্নায়বিক পেটের রােগ’ বইয়ের লেখক ডঃ যােশেক এফ, মন্টেগু একই কথা বলেছেন৷ তিনি বলেছেনঃ “আপনি যা খান তাতে আলসার হয় না৷ আপনাকে যে কুড়ে কুড়ে খায় তাতেই আলসার হয়৷ মেয়াে ক্লিনিকের ডাক্তার ডঃ ডব্লিউ সি, আলভারেজ বলেন, “আলসার কমে বা বাড়ে মানসিক অবস্থার উত্থান পতনে৷ 

এই কথা বলা হয় মেয়াে ক্লিনিকে ১৫,০০০ হাজার রােগীর পাকস্থলীর চিকিৎসার অভিজ্ঞতায়৷ ভয়, উদ্বেগ, ঘৃণা, অতিমাত্রায় স্বার্থপরতা বাস্তবের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানাের অক্ষমতাই এই আলসারের জন্য দায়ী৷ পাকস্থলীর আলসারে মৃত্যু ঘটতে পারে৷ 

লাইফ পত্রিকায় বলা হয়েছে যে মারাত্মক রােগের তালিকায় এর স্থান দশম৷ যে লােক মাটি কুপিয়ে খাল বানায় সেও তাই করে অনেক আনন্দে দিন কাটায় এবং ব্যবসা সংক্রান্ত যে কোন অফিসারের চেয়ে ভালই ঘুমােয়৷ সত্যি বললে চাষ করেও স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায়৷ 

আমি রেলপথ বা সিগারেট কোম্পানির অধিকারী হতে গিয়ে পঁয়তাল্লিশ বছরে নিজেকে শেষ করতে চাই না৷ মন বিখ্যাত মেয়াে ভাইয়েরা বলেছেন আমাদের হাসপাতালে অর্ধেকেরও বেশি রােগী হলেন স্নায়ুর রােগী৷ তবুও এইসব স্নায়ু রােগীর মারা যাওয়ার পর অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষার পর দেখা যায় তাদের স্নায়ু ম্যাক ডেম্পসীর চেয়েও সবল ছিল৷ 

তাদের স্নায়ুর গােলযােগ ঘটে শারীরিক কারণে নয় বরং ব্যর্থতা, পরাজিতের মনােভাব, উদ্বেগ, ভয়, দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে৷ প্লেটো বলেছিলেন, ‘চিকিৎসকরা যে ভুল করেন তা হল তারা মনের ‘চিকিৎসা না করে শরীর সারাতে চান, আর শরীর অবিচ্ছেদ্য তাই আলাদা করে চিকিৎসা উচিত নয়৷ এই মহাসত্য বুঝতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের লেগেছিল তেইশশ বছর৷ 

আমরা এখন এক নতুন ধরনের ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছি যার নাম সাইকোসােমাটিক ওষুধ- যে ওষুধ মন ও শরীরের একসঙ্গে চিকিৎসা করবে৷ ডাক্তারদের মত হল প্রতি বিশজনে একজন আমেরিকান তার জিবনের একাংশ কোন না কোন সময় মানসিক হাসপাতালে কাটাতে হয়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেনাদলে যােগ দিতে যেসব যুবক আসে তাদের প্রতি দু’জনের মধ্যে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে ভর্তি নেয়া হয়নি৷ 

আরো পড়ুনঃ- মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়

লােকে উন্মাদ হয় কেন? এর সব উত্তর কেউ জানেন না৷ তবে এটা খুবই সম্ভব যে অনেক ক্ষেত্রেই ভয় আর উদ্বেগ এজন্য দায়ী৷ দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগে যে হতাশাগ্রস্ত হয়, নিজেরাই এক স্বপ্নের জগত গড়ে নেয় আর সেইভাবেই তারা দুশ্চিন্তা কাটায়৷ দুশ্চিন্তা কঠিন ধাতের মানুষকেও অসুস্থ করে তুলতে পারে৷ আমেরিকার গৃহ যুদ্ধের শেষ দিকে জেনারেল এ্যান্ট সেটা বুঝেছিলেন৷ 

দুশ্চিন্তা মানুষের কি ক্ষতি করতে পারে জানার জন্য আমাকে লাইব্রেরিতে বা ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না৷ এই বই লেখার সময় জানালা দিয়ে তাকালে দেখতে পাই একটা বাড়িতে একজন স্নায়বিক অবসাদের ভেঙ্গে পড়েছেন – আর অন্য একটা বাড়িতে অপরজনের ডায়াবেটিস হয়ছে৷ শেয়ার বাজার পড়ে যাওয়াতেই তা রক্ত আর প্রসাবে সুগার বেড়ে যায়৷ 

বিশ্বের অন্নতম গেটে বাত - বিশেষজ্ঞ ডঃ রাসেল ডি . মিসিল বলেছেন দুশ্চিন্তা মানুষকে বাতে পঙ্গু করে হুইল চেয়ারে বসাতে পারে৷ তাঁর মতে গেঁটে বাত হওয়ার প্রধান চারটি কারণ হলঃ 

১ঃ- বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য

২ঃ- অর্থনৈতিক বিপর্যয় আর দুঃখ

৩ঃ- নিঃসঙ্গতা আর দুশ্চিন্তা

৪ঃ- বহুকাল পুষে রাখা অসন্তোষ

এই কারন গুলাে অবশ্যই আবেগজনিত আরও ঢের কারনে গেঁটে বার হতে পারে৷ তবে সাধারন কারণ বলতে ওই দুশ্চিন্তা আছে৷ 

উদাহরন হিসেবে বলছি, আমার এক বন্ধুর আর্থিক দুরবস্থার সময় গ্যাস কোম্পানি গ্যাস বন্ধ করে দেয়৷ ব্যাংক ও বাড়ির মর্টগেজ রদ করে দেয়৷ এই সময় তাঁর স্ত্রীর গেঁটে বার জন্মায় – আর যতদিন না তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না হয় ততদিন রােগ সারেনি৷ 

আরো পড়ুনঃ- নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

দুশ্চিন্তায় দাঁতের ক্ষয় হয়৷ ডঃ উইলিয়াম আই.এল. ম্যাকগনিগল বলেন, “অসুখী মনােভাব যদি দুশ্চিন্তা, ভয় ঘ্যানঘ্যানানি থেকে জন্মায় তা শরীরের ক্যালসিয়াম নষ্ট করে দিতে পারে আর তাতেই দাঁতে ক্ষয় হয়৷ তিনি এক রােগীর কথা বলেছেন যার চমৎকার দাঁত ছিল কিন্তু তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার চিন্তায় প্রায় নটি দাঁতে গর্ত হয়ে যায়৷ সবটাই দুশ্চিন্তার জন্য৷ 

এমন কাউকে দেখেছেন যার থাইরয়েড গ্রন্থি অতি চঞ্চল? আমি দেখেছি, তারা থর থর করে কাঁপে - তারা যেন মৃত্যু ভয়ে সবসময়েই ভীত৷ থাইরয়েড গ্ল্যাড যা শরীর নিয়ন্ত্রন করে, তাদের এমন অবস্থায় এনে ফেলে যে, হার্টের গতি বৃদ্ধি হয় - সারা দেহ যেন চুল্লির আগুনে হাওয়া পেয়ে জোরে চলতে থাকে৷ আর এটা বন্ধ না করতে পারলে, অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা না করলে এরা মৃত্যুবরণ করতে পারে৷ 

ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখুন - ভালভাবে ঘুমােতে শিখুন - সঙ্গীতকে ভালবাসুন আর জীবনের মজার দিকটি দেখার চেষ্টা করুন৷ তাহলেই সুস্বাস্থ্য আর সুখ আপনার আয়ত্ত হবে৷ 

একজন ডাক্তার আমায় বলেছিলেনঃ প্রথম যখন সিনেমায় নামতে যাই দুশ্চিন্তা আর ভয়ে কাঠ হয়েছিলাম৷ আমি সবে ভারতবর্ষ থেকে এসেছি আর লন্ডনে কাউকে চিনতাম না সেখানে একটা কাজ চাইছিলাম৷ যখন প্রযােজকের সঙ্গে দেখা করি, কিন্তু কেউ আমায় নিলেন না, আমার সামান্য পুঁজি ফুরিয়ে আসছিল৷ 

দু'সপ্তাহ ধরে আমি শুধু বিস্কুট আর জল খেয়ে কাটাই৷ তখন দুশ্চিন্তা ছাড়াও আমার খিদের মুখ খানা ছাড়া আমার আর কী দেখার আাছে৷ যখন আয়নায় তাকালাম দেখলাম দুশ্চিন্তা আমার মুখের কি দশা করেছে, কালাে রেখা পড়েছে সেখানে৷ উদ্বেগের চিহ্ন ও চোখে পড়ল৷ তাই নিজেকে বললামঃ এটা এখনই বন্ধ করা চাই৷ 

তােমার দুশ্চিন্তা করা একেবারে চলবে না৷ দেবার মত তােমার ওই সৌন্দর্যই আছে, তাকে নষ্ট করা চলবে না৷ মেয়েদের চেহারা সবচেয়ে খারাপ হয়ে যায় দুশ্চিন্তায়৷ দুশ্চিন্তা নিজেকে প্রকাশে বাধা দেয়৷ চুলে পাক ধরতে পারে, তা উঠেও যেতে পারে, চামড়ার রােগ হতে পারে৷ 

আমেরিকায় হৃদরােগেই আজকাল সবচেয়ে বেশি লােক মারা যায়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ লােক মারা যায়৷ কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে বিশ লক্ষ লােক মারা যায় হৃদরােগে- এর অর্ধেক আবার এমন হৃদরােগ, যার উৎপত্তি হয় দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগে জীবন যাপনের জন্য৷ 

নিগ্রো আর চীনাদের কদাচিত এই ধরনের দুশ্চিন্তার কারনে হৃদরােগ হয়৷ কারণ তারা সবকিছুই শান্তভাবে মেনে নিতে অভ্যস্ত৷ খামারের কৃষকদের চেয়ে ডাক্তারদের হৃদরােগে মৃত্যুর সংখ্যা বিশগুন বেশি৷ ডাক্তারদের জীবন দুশ্চিন্তায় কাটে বলে তারা উচিত মূল্য পেয়ে থাকেন৷ 

আরো পড়ুনঃ- ব্রেকআপের কষ্ট থেকে মুক্তির উপায়

উইলিয়াম জেমস বলেছেন, “ঈশ্বর আমাদের পাপ ক্ষমা করেন, কিন্তু আমাদের স্নায়ু তা করে না৷ 

আমেরিকায় সবচেয়ে ছোঁয়াচে রােগে যত লােক মারা যায় তার চেয়ে ঢের বেশি মারা যায় আত্মহত্যা করে৷ কেন এরকম হয়? এর প্রধান কারণ হলঃ “দুশ্চিন্তা৷ 

চীনের নিষ্ঠুর সেনাধ্যাক্ষরা তাদের বন্দীদের উপর অত্যাচার চালাতে তাদের খুঁটির সঙ্গে হাত - পা বেঁধে উপরে ঝােলানাে চামড়ার ব্যাগ ভর্তি জলের নিচে রাখতেন- ওই ব্যাগ থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে পড়ত মাথায়৷... অনবরত ... সারা দিন রাত ধরে৷ 

ওই জলের ফোঁটাকে শেষ অবধি মনে হত যেন হাতুরির আঘাত - মানুষ তাতে পাগল হয়ে যেত৷ হিটলারের আদেশে এই একই পদ্ধতি কাজে লাগানাে হয় স্পেনের বন্দী নিবাস আর জার্মানির কনসেনট্রেশান শিবিরে৷ দুশ্চিন্তা ও অনেকটা এই অনবরত ঝরে পরা জলের ফোঁটার মত, আর ক্রমাগত এই দুশ্চিন্তায় মানুষ উন্মাদ হয়ে যায় আর আত্মহত্যা করতে চায়৷ 

আপনি যদি ক্রমাগত দুশ্চিন্তা করেন তাহলে একদিন হয়তাে এমন বেদনায় আক্রান্ত হতে পারেন যার নাম এঞ্জাইনা পেক্টোরিস অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের ব্যাথা৷ এ রােগের আক্রমন যে যন্ত্রনায় আর্তনাদ করবেন তাতে দান্তের 'ইনফারনাে' কেও মনে হবে ছেলেমানুষি৷ তখন আপনি নিজেই বলতে চাইবেন, “হে ঈশ্বর, এ থেকে মুক্তি পেলে আর কখনােই দুশ্চিন্তা করব না৷ বারিয়ে বলছি কিনা পারিবারিক চিকিৎসক কে প্রশ্ন করুন একবার৷ 


আপনি কি জীবনকে ভালবাসেন? দীর্ঘদিন সুস্থ শরীরে বাঁচতে চান? তাহলে একটা কথা শুনে নিন৷ আমি আবার ডঃ অ্যালেক্সি ক্যারেলের উদ্ধৃতি দিচ্ছি৷ তিনিই বলেন, যারা এই আধুনিক শহর কোলাহলের মধ্যেও অন্তরের শান্তি বজায় রাখতে পারেন তাদের স্নায়ুর রােগ হওয়ার সম্ভবনা নেই৷ 

আপনি অভ্যন্তরীন সত্তাকে এভাবে শান্তিতে রাখতে পারেন কি? আপনি একজন স্বাভাবিক মানুষ হলে এর উত্তর হলঃ 'হ্যাঁ' বা ‘অবশ্যই'৷ দৃঢ়তা নিয়ে কেউ যদি তার স্বপ্নের দিকে এগুতে চেষ্টা করে, আর সেরকম জীবন যাপন করতে পারে তাহলে সে সাফল্য হবে অসামান্য৷ ওলগা কে, জার্ভির মত মনের জোর আর শক্তি এই বইয়ের পাঠকের অনেকেরই অবশ্য জানা আছে৷ 

আরো পড়ুনঃ- খারাপ চিন্তা ভাবনা-বন্ধ করার উপায়

তিনি বুঝেছিলেন অত্যন্ত শােচনীয় অবস্থার মধ্যেও তিনি দুশ্চিন্তা সরিয়ে রাখতে পারতেন৷ আপনি বা আমি ও তা পারব, ওলগা কে, জার্ভি আমাকে যা লেখেন তা এইঃ ‘সাড়ে আট বছর আগে আমি দুরারােগ্য ক্যান্সার রােগে মরতে বসেছিলাম৷ দেশের বিখ্যাত ডাক্তাররাও আমার জীবনের আশা নেই বলেন৷

আমার সামনে আসে বিরাট এক শুন্যতা৷ তখন আমার বয়স অল্পই ছিল৷ আমি মরতে চাইনি! হতাশায় আমার ডাক্তারকে ফোন করে সব জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ি৷ অধৈর্যের সঙ্গে তিনি বললেন, “কি ব্যাপার ওলগা, লড়াই করার মত মনের জোর তােমার নেই? কাদলে নিশ্চিত মরবে৷ 

হ্যাঁ, সবচেয়ে খারাপই তােমার হয়েছে৷ ঠিক আছে - সত্যর মুখােমুখি হও৷ দুশ্চিন্তা ত্যাগ করাে; আর কিছু একটা করাে! 'সেই মুহূর্তেই শপথ করলাম, আর দুশ্চিন্তা করব না৷ আমি আর কাঁদবাে না৷ বস্তুর চেয়ে মনের জোর যদি বেশি হয় তাহলে আমি জয়ী হবই৷ আমি বেঁচে থাকবাে! 

'রেডিয়াম আর দেয়া যাচ্ছিল না তাই রঞ্জন রশ্মি দেওয়া হতে লাগল ৪৯ দিন ধরে রােজ সাড়ে চৌদ্দ মিনিট৷ আমার শরীরে হাড় দেখা যাচ্ছিল, আমার পা সীসের মত ভারী হয়ে গিয়েছিল৷ তবুও আমি দুশ্চিন্তা করিনি৷ হ্যাঁ, এমনকি জোর করে হাসতেও চাইছিলাম৷ “আমি মুর্খ নই যে ভাববাে, হাসিতে ক্যান্সার নিরাময় হয়৷ 

তবে এটা জানি আর বিশ্বাস করি মানসিক অশান্তি থাকলে রােগ নিরাময়ে সুবিধা হয় না৷ যাই হােক দৈবের সাহায্যে যে ক্যান্সার সারে তা উপলব্ধি করলাম৷ গত ক'বছরে যে স্বাস্থ্য আমার আছে তেমন সুস্থ আগে কখনাে থাকি নি৷ সেই কথাগুলােকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি নাঃ দুশ্চিন্তা ত্যাগ করাে৷ কিছু একটা করাে! 

আরো পড়ুনঃ- যেকোনো ভয় দূর করার উপায়

এই পরিচ্ছদে ইতি টানবাে আবার সেই ডঃ অ্যালেক্সি ক্যারেলের কথা দিয়েঃ “যে ক্যারেল কি আপনার কথা ভাবছিলেন? হতেও পারে৷ মহম্মদের ক্ষ্যাপা শিষ্যদের মধ্যে অনেকে কোরআনের বানী উল্কি করে বুকের উপর লিখে রাখত৷ তাই আমারও ইচ্ছে এই কয়টি কথা মনের একান্ত গভীরে প্রবেশ করুক৷ “যে সমস্ত ব্যাক্তিরা দুশ্চিন্তা প্রতিরােধ করতে পারেন না তাঁদের আয়ু অল্প৷ ”

পুরো বইটি বাংলায় পড়তে চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা আপনাকে বইটি দিব৷ 

Post a Comment

2 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. এই বইটি আমি পেতে চাই।কি করে পাবো?

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রিয় গ্রাহক, আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ৷ দয়া করে আমাদের ফেসবুক পেইজে মেসেজ দিবেন আপনাকে বইটির লিংক দেওয়া হবে৷
      www.facebook.com/jibonsomossa.blog

      Delete

Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog

Top Post Ad

Below Post Ad