hh

সাতটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক আবেগ

সাতটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক আবেগ

Napoleon Hill এর International Best Selling And Best Rating বই Think And Grow Rich থেকে শেয়ার করবো "সাতটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক আবেগ"

সাতটি প্রধান নেতিবাচক আবেগ

১. আকাঙক্ষা 

২. বিশ্বাস

৩. প্রেম 

৪. সেক্স 

৫. উৎসাহ 

৬. রোমাঞ্চ 

৭. আশা 

আরাে কিছু ইতিবাচক আবেগ রয়েছে তবে এই সাতটিই সচে শক্তিশালী এবং সৃষ্টিশীল কর্মে এগুলােরই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ও সাতটি আবেগ ধারণ করুন৷ ( শুধুমাত্র ব্যবহারের মাধ্যমে এগুলাে করা যাবে ) এবং অন্যান্য ইতিবাচক আবেগগুলাে আপনি চাইলেই আপনার কাছে এসে হাজির হয়ে যাবে, যখনই প্রয়ােজনবােধ করবেন৷

আরো পড়ুনঃ- ধৈর্যের অভাবের লক্ষ্মণ সমূহ

সাতটি প্রধান নেতিবাচক আবেগ ( এই আবেগগুলাে এড়িয়ে চলবেন

১. ভয়

২. হিংসা বা ঈর্ষা 

৩. ঘৃণা 

৪. প্রতিশােধ 

৫. লােভ 

৬. কুসংস্কার 

৭. ক্রোধ 

ইতিবাচক এবং নেতিবাচক আবেগ একই সময় মনকে দখল করে রাখতে পারে না৷ একটি আরেকটির ওপর কর্তৃত্ব করে৷ এটি আপনারই দায়িত্ব দেখা যে আপনার ইতিবাচক আবেগগুলাে দ্বারা আপনার মন প্রভাবিত হচ্ছে৷ এখানে অভ্যাসের আইন আপনার সাহায্যে আসতে পারে৷ ইতিবাচক আবেগগুলাে প্রয়ােগ এবং ব্যবহারের চেষ্টা করুন৷ তাহলে অবশেষে এগুলাে আপনার মনের ওপর এমনভাবে কর্তৃত্ব করবে যে নেতিবাচক আবেগ ওখানে প্রবেশের সুযােগই পাবে না৷ 

এই নির্দেশাবলী অক্ষরে অক্ষরে এবং ক্রমাগত মেনে চললেই কেবল আপনার অবচেতন মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করতে পারবেন৷ আপনার সচেতন মনে যদি একটিমাত্র নেতিবাচক চিন্তা থাকে সেটিই আপনার অবচেতন মনের সকল গঠনমূলক সাহায্যকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট৷ আপনি যদি তীক্ষ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ হন তাহলে নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন বেশিরভাগ মানুষই সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পরে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনায় বসে৷ 

অথবা তারা অর্থহীন সব প্রার্থনা করে৷ এসব মানুষ সবকিছু হারানাের পরে প্রার্থনায় যখন যায় তখন তাদের মনে বাস করে ভয় এবং সন্দেহ৷ আর এই আবেগগুলাে নিয়ে অবচেতন মন কাজ করে এবং অসীম বৃত্তির কাছে এগুলােকে পাঠিয়ে দেয়৷ আর অসীম বুদ্ধিমত্তা এ আবেগুলাে রিসিভ করে সে মতে কাজ করতে থাকে৷ আপনি যখন প্রার্থনা করবেন, সে প্রার্থনায় যদি ভতি এবং সন্দেহ মিশে থাকে কিংবা আপনার প্রার্থনা নিয়ে যদি অসীম বুদ্ধিমত্তামেজ করে তবে সেই প্রার্থনা বিফলেই যাবে! 

প্রার্থনা করতে হবে মন দিয়ে যেখানে কোনাে শঙ্কা বা ভীতি কাজ করবে না৷ একটা সময় আসবে যখন দেশের স্কুল - কলেজগুলােতে Science of Prayer ' পড়ানাে হবে৷ যখন এ সময়টি আসবে ( এ সময়টি অবশ্যই আসবে কারণ মানবসভ্যতা এটি দাবি করে ) তখন ইউনিভার্সাল মাইন্ডে ভয় - ভীতির আর জায়গা থাকবে না৷ অশিক্ষা, কুসংস্কার এবং ভুয়া শিক্ষা দূর হয়ে যাবে, মানুষ অসীম বুদ্ধিমত্তার সন্তান হিসেবে তার প্রকৃত স্ট্যাটাস অর্জন করবে৷ 

আরো পড়ুনঃ- অশান্তিতে ভুগলে যেসব রোগ হয়

যদিও এ মুহূর্তেই কিছু মানব সন্তান রয়েছেন যারা এই গুণে গুণান্বিত৷ আপনার যদি মনে হয় এ ভবিষ্যদ্বাণী সুদূর কল্পনাপ্রসূত তাহলে আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই একশাে বছরেরও কম সময় আগে লােকে বজ্র - বিদ্যুৎকে ঈশ্বরের ক্রোধ বলে মনে করত এবং ভয় পেত৷ এখন বিশ্বাসের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে মানুষ বিদ্যুৎ তৈরি করে তা শিল্প কারখানায় ব্যবহার করছে৷ 

একশাে বছর আগে লােকে ভাবত গ্রহগুলাের মাঝখানে শূন্যতা ছাড়া কিছু নেই, মৃত৷ এখন লােকে জানে গ্রহের মাঝখানের শূন্যতা জীবন্ত৷ অবচেতন মন হলাে যােগাযােগের একটি মাধ্যম যা একজনের প্রার্থনাকে টার্মসে রূপান্তরিত করে যাতে অসীম বুদ্ধিমত্তা তাকে চিনতে পারে এবং এই মেসেজটি উপস্থান করার মাধ্যমে কোনাে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অথবা আইডিয়ার আকারে প্রার্থনাকারীর কাছে জবাব পৌছে দিতে পারে৷ 

আপনার প্রার্থনা অসীম বুদ্ধিমত্তার কাছে পৌছাবার আগে এটি সম্ভবত এর মূল চিন্তার কম্পন থেকে রূপান্তরিত হয়ে স্পিরিচুয়াল ভাইব্রেশনের টার্মসে পরিণত হয়৷ বিশ্বাস একমাত্র মাধ্যম যা আপনার চিন্তাকে স্পিরিচুয়াল একটি প্রবৃত্তি এনে দেবে৷ বিশ্বাস এবং ভয় পরস্পরের বন্ধু হতে পারে না৷ যেখানে একজনকে দেখা যায় সেখানে আরেকজন থাকতে পারে না৷ 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad