hh

রোজা রাখার উপকারিতা | বৈজ্ঞানিক ভিওি

 

রোজা রাখার উপকারিতা | বৈজ্ঞানিক ভিওি

#অটোফেজি ও #রোজা 

মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘সিয়াম'৷ খ্রিস্টানরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘ফাস্টিং’৷ 

হিন্দু বা বৌদ্ধরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘উপবাস৷ 

বিপ্লবীরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘অনশন’৷ 

আর, মেডিক্যাল সাইন্সে রোজা রাখকে বলা হয় 'অটোফেজি’৷ 

তবে মুসলিমদের রোজা রাখার ধরনের সাথে অন্যদের কিছু পার্থক্য আছে৷ খুব বেশি দিন হয়নি, মেডিক্যাল সাইন্স ‘অটোফেজি’র সাথে পরিচিত হয়েছে৷ 

২০১৬ সালে নোবেল কমিটি জাপানের ডাক্তার ‘ওশিনরি ওসুমি’-কে অটোফেজি আবিষ্কারের জন্যে পুরষ্কার দেয়৷ 

এরপর থেকে আধুনিক মানুষেরা ব্যাপকভাবে রোজা রাখতে শুরু করে৷ YouTube এ অনেক ভিডিও এবং Internet এ অনেক তথ্য পাবেন এই বিষয়ের উপর৷ যেখানে রোজা রাখার জন্যে আধুনিক সচেতন নারী ও পুরুষেরা কেমন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, দেখুন!!! শত হলেও, মেডিক্যাল সাইন্স বলে কথা!!

যাই হোক, Autophagy কি? এবার তা বলি।

Autophagy শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ৷ Auto অর্থ নিজে নিজে, এবং Phagy অর্থ খাওয়া৷ 

সুতরাং, অটোফেজি মানে নিজে নিজেকে খাওয়া৷ না, মেডিক্যাল সাইন্স নিজের গোস্ত নিজেকে খেতে বলে না৷ শরীরের কোষগুলো বাহির থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই যখন নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, তখন মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় তাকে অটোফেজি বলা হয়৷ 

আরেকটু সহজভাবে বলি৷ আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, অথবা আমাদের কম্পিউটারে যেমন রিসাইকেল বিন থাকে, তেমনি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে৷ সারা বছর শরীরের কোষগুলো খুব ব্যস্ত থাকার কারণে, ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পায় না৷ ফলে কোষগুলোতে অনেক আবর্জনা ও ময়লা জমে যায়৷ শরীরের কোষগুলো যদি নিয়মিত তাদের ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে কোষগুলো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের উৎপন্ন করে৷ 

ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মত অনেক বড় বড় রোগের শুরু হয় এখান থেকেই৷ মানুষ যখন খালি পেটে থাকে, তখন শরীরের কোষগুলো অনেকটা বেকার হয়ে পড়ে৷ কিন্তু তারা তো আর আমাদের মত অলস হয়ে বসে থাকে না, তাই প্রতিটি কোষ তার ভিতরের আবর্জনা ও ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করে৷  কোষগুলোর আমাদের মত আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই বলে তারা নিজের আবর্জনা নিজেই খেয়ে ফেলে৷ 

মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি৷ শুধু এ জিনিসটা আবিষ্কার করেই জাপানের ওশিনরি ওসুমি (Yoshinori Ohsumi) ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কারটা নিয়ে গেল৷ প্রফেসর ওশিনরি নিজেও সপ্তাহে দুটি করে রোজা রাখেন৷ যারা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রোজা রাখেন না তারা ভূল করছেন৷ 


আমরা তো প্রতিবছর একমাস রোজা রেখে শরীরের

অটোফেজি করে ফেলি৷ 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad