ঘামাচি (মিলিয়ারিয়া) কী
ঘামাচিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মিলিয়ারিয়া বলে। এটি এক ধরনের ত্বকের সমস্যা। ‘প্রিকলি হিট’ নামেও একে অনেকে চেনেন।
কেন হয়
ঘামাচির সমস্যা খুব পরিচিত। আমাদের দেশের গরম ও বর্ষার আদ্র ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় ঘামাচি একটি খুব বেশি হয়। শরীরের যে ঘর্মগ্রন্থি বা সোয়েট গ্ল্যান্ড থাকে তার মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ঘামাচির সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ- ত্বকের বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার
কারও হয়, কারও হয় না কেন
ঘাম ও ঘামাচির মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে। ঘর্মগ্রন্থির সক্রিয়তার ভিত্তিতে কারও ঘাম বেশি হয়, কারও কম। ঘর্মনালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ঘাম ত্বকের ওপর পর্যন্ত পৌছাতে পারে না। তখন নালির মধ্যে এই ঘাম জমতে থাকে। এইভাবে জমতে জমতে একসময় ঘর্মনালি ফেটে যায় এবং ত্বকে ছোট ছোট দাগের সৃষ্টি করে। এই দাগগুলিকেই ঘামাচি বলে।
কাদের হয়
সব বয়সী মানুষদের মধ্যে হলে শিশু ও বালক-বালিকাদের শরীরে ঘামাচি বেশি দেখা যায়। দেখা গেছে, জন্মের প্রথম দু’তিন সপ্তাহের মধ্যেই এ সমস্যা বেশি হয়। আবার চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।
কোথায় হয়
সাধারণত মাথায়, ঘাড়ে ও দেহের উপরিভাগে হয়।
উপসর্গ
লাল লাল দানার মতো ঘামাচি লম্বায় ১-২ মিমি হয়। ঘামাচি হলে আক্রান্ত অংশটি চুলকায় ও জ্বালা করে এবং বেশি চুলকালে ঘা অর্থাৎ, সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে।
প্রতিকার
ঘামাচির কোনও সঠিক ওষুধ নেই। যে ধরনের কাজকর্মে ঘাম হতে পারে সেগুলি বর্জন করে ঘামাচি এড়ানো সম্ভব। এ সি ব্যবহার করে পরিবেশ ঠাণ্ডা করে নিলে, হালকা পোশাক পড়লে এবং গরম ও আদ্র আবহাওয়া পরিত্যাগ করতে পারলে ঘামাচি থেকে সুরক্ষা মেলে। গরমকালে মৃদু সাবান মেখে ঘন ঘন স্নান করলে ভাল। এই সময় শিশুদের দিনে অন্তত দু’বার স্নান করানো ভাল। পরিধেয় যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা হবে তত ভাল। পোশাক অবশ্যই সুতির হবে। মনে রাখবেন, ঘামাচির সমস্যা সমাধানে প্রিকলি হিট পাউডার ব্যবহার না করাই ভাল। শিশুদের ক্ষেত্রে বেবি কোলন অথবা আফটার শেভ লোশন ব্যবহারে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ- হলুদের উপকারিতা এবং অপকারিতা
চিকিৎসা
সাধারণ ভাবে ঘামাচির জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। চুলকানি কমাতে ক্যালামাইন লোশন অ্যান্টিহিস্টামিন সিরাপ খাওয়া যেতে পারে। ঘামাচি থেকে সংক্রমণ হয়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিক লোশন ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। সংক্রমণে মাত্রা খুব বেশি হলে অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ খাওয়াতে হবে। আর বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড অথবা অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ খুব কার্যকর। এছাড়াও অন্য কিছু ওষুধ খাওয়া বা লাগানোও যেতে পারে।
Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog