দাদ
আমাদের দেশে এই রােগের সংখ্যা প্রচুর৷ সাধারণত দূষিত পরিবেশে এ রােগ দ্রুত ছড়ায়৷ শরীরের কোন স্থান আক্রান্ত হলে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ এমনকি অন্য মানুষের শরীরে ছড়ানােও অযৌক্তিক কিছু নয়৷ বিশেষ করে খাল, বিল, নদী নালার নােংরা পানি দ্বারা এ রােগের বিস্তার ঘটে৷ প্রদাহজনিত এই চর্মরােগ চামড়া, চুল এমন কি আঙ্গুলের নখেও হয়ে থাকে৷ এক একটি স্থানের ইনফেকশনের জন্য এক এক রকম নামকরণ করা হয়ে থাকে৷ এটা যুবক এবং বয়স্ক লােকদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়৷ কাপড়ের দ্বারাও এ সংক্রমণ হয়ে থাকে, যেমন- মােজার মাধ্যমে, শার্টের দ্বারা বগলে, মেয়েদের পেটিকোটের ফিতার বাধন বরাবর৷
দাদের লক্ষণ
* আক্রান্ত স্থান চুলকায় এবং গােলাকৃতি হয়ে ফুলে উঠে
* ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং চারপাশে রিং এর মতাে ঘামাচি ওঠে
* ক্ষত হতে আঠালাে কষ বের হয়
* পেটের চামড়ায় বিশেষ করে পেটিকোটের ফিতা বাঁধার স্থান চুলকানাের পর বেশ সময় ধরে জ্বলে
* আক্রান্ত স্থানে দানা দানা মতন দেখা দেয়
* ইনফেকশনের ঘা একটু শুকিয়ে পুনরায় আবার দেখা দেয়
* শুকনা হলে ক্ষতের উপরে সাদা সাদা দেখা যায়
আরো পড়ুনঃ- ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন
দাদ নিরাময়ে একক ভেষজ
• দাদ আক্রান্ত স্থানে ঘি মাখিয়ে পােড়া ওল ঘষলে উপকার হয়
* কলমি শাকের কুঁড়ি আক্রান্ত স্থানে বেটে লাগালে উপকার হয়, এলার্জি দেখা দিলে ব্যবহার করা যাবে না আক্রান্ত স্থানে শ্বেত চন্দনের প্রলেপ মাখলে শিগগিরই উপকার পাওয়া যায়
* আক্রান্ত স্থানে রসুনের কোয়া অন্তত ৫ মিনিট ঘষতে হবে গােসলের আগে ও রাতে ঘুমানাের আগে তুলসী পাতার রসে একটু লবণ মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়
• মডার্ণ হারবাল ফুডের নিম তেল নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাদ সেরে যায়
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ
* যেসকল খাদ্য খেলে এলার্জি হয় সেগুলাে না খাওয়াই উত্তম৷ ক্ষতস্থান ঢেকে রাখতে হয় এবং ক্ষতস্থানের সঠিক চিকিৎসা করতে হয়
* ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলা উচিত
* ক্ষত অবস্থায় রাসায়নিক ঔষধের প্রয়ােগ না করাই উত্তম
আরো পড়ুনঃ- আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতের মুঠোয়
ছুলি
ছুলিও একটি ছত্রাকজনিত চর্মরােগ৷ গরমকালে এ রোগটি হয় এবং শীতকাল এলে এমনিতেই মিলিয়ে যায়৷ গরমকালে এই রােগ হওয়ার কারণ হচ্ছে ত্বক গরমকালে ভেজা থাকে৷ ফলে ঐ স্থানে এই রােগের জীবাণুর আক্রমণ ঘটে৷ এ রােগে আক্রান্ত স্থানে হালকা বাদামি, সাদা, গােলাকৃতির দাগ হতে দেখা যায়৷ উপরের অংশ, বগলের নিচে, এমনকি সারা শরীরেও হয়ে থাকে৷ এ রােগে আক্রান্ত ত্বক দেখতে সাদা হয়, তাই অনেকে আবার একে শ্বেতী বলেও ভাবতে শুরু করে৷ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শ্বেতীর সঙ্গে এর কোনই সম্পর্ক নেই৷
ছুলি নিরাময়ে একক ভেষজ
* ৩ গ্রাম হলুদের গুঁড়াে এবং আকন্দের ৫-৬ ফোটা আঠা মিশিয়ে গােসলের এক ঘণ্টা আগে লাগালে ছুলি ধীরে ধীরে কমে যায়
* আক্রান্ত স্থানে ঘি মাখিয়ে পােড়া গুল ঘষলে উপকার হয়৷
মেছতা
মেছতা আমাদের দেশে বর্তমানে একটা কমন রােগ৷ মধ্যবয়সী লােকদের মধ্যে এই রােগ হতে দেখা যায়৷ মহিলাদের এই রােগ বেশি দেখা যায়৷ সাধারণত স্ত্রী - পুরুষের গালে কালাে কালাে ছােপ আকারে এই রােগ হতে দেখা যায়৷ এ রােগটি বছরের যেকোনাে সময়ই হতে পারে৷ তবে গরমকালেই বেশি দেখা যায়৷
আরো পড়ুনঃ- ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যেকোন সমস্যার সমাধান
মেছতার কারণ
* মেছতা এক ধরনের ছত্রাক জাতীয় সংক্রমণ
* শরীরে পিত্তাধিক্য হলে এ রােগ দেখা যায়
* যাদের দীর্ঘদিন পেট ও লিভারে সমস্যা থাকে এবং অত্যধিক মানসিক দুশ্চিন্তায় ভােগেন তাদের এরােগ হতে দেখা যায়৷ যারা বেশি রোদে পোড়েন তাদের এ রােগ হতে দেখা যায়৷
মেছতার লক্ষণ
* সাধারণত দুই পালে রােগ হতে দেখা যায়
* কোন চুলকানি থাকে না
* গালে কালাে কালাে ছোপ আকারে দেখা যায়
* গােলাকৃতি তামাটে ছােপ আকারেও দেখা যায়
মেছতা নিরাময়ে একক ভেষজ
* অর্জুন ছালের মিহি গুঁড়াে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে দাগগুলাে চলে যায়৷
* ছােলা ভিজিয়ে বেটে মুখে লাগালেও চলে যায়
* ৩ গ্রাম হলুদের গুঁড়াে এবং আকন্দের ৫-৬ ফোঁটা আঠা মিশিয়ে গােসলের এক ঘণ্টা আগে লাগালে এই রােগের উপকার হবে
ঘামাচি
গরমকালে আর একটি বিব্রতকর রােগের নাম হচ্ছে ঘামাচি৷ এ রােগটি গরমকালেই হয়৷ শীত এলে আপনা - আপনিই রােগটি ভাল হয়ে যায়৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রােগটির নাম হল মিলিয়ারিয়া৷ এটি একটি ঘর্মগ্রন্থির রােগ৷ ঘর্মগ্রন্থির নালী অতিরিক্ত আর্দ্রতা আর গরমে বন্ধ হয়ে এই রােগের সৃষ্টিকরে৷ তবে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা থাকলে এ রােগটি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব৷
যেমন ধরুন কোন ব্যক্তি যদি ঘরে, অফিসে এবং গাড়িতে এয়ারকুলার ব্যবহার করেন তবে বলা যায় যে, তার এ রােগটি হওয়ার সম্ভাবনা গরমকালেও নেই৷ যারা তা পারেন না তাদের সব সময়ই ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকতে হবে অর্থাৎ একটি ফ্যান অন্তত সার্বক্ষণিকভাবে মাথার উপর রাখার ব্যবস্থা করতে হবে৷ গ্রীষ্মকালে দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম নিঃসরণ হতে থাকে৷
তখনকার এত বেশি পরিমাণ ঘাম কেবল ঘর্মনালীর সরু ছিদ্রপথে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়৷ ঐ বাড়তি ঘাম ঘর্মগ্রন্থির নালীকে ফুটো করে ত্বকের নিচে এসে জমা হতে থাকে, যা পানিভর্তি ছােট ছােট দানার আকারে ফুলে উঠতে দেখা যায়৷ ফলে চুলকানিসহ সামান্য জ্বালাপােড়া অনুভূত হয়৷ মূলত এটাই হচ্ছে ঘামাচি৷
আরো পড়ুনঃ- ওজন ও ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায়
ঘামাচি নিরাময়ে একক ভেষজ
* হেলেঞ্চা শাকের পাতা সামান্য পানি দিয়ে বেটে তার রস শরীরে মাখলে খুব শিগগিরই উপকার পাওয়া যায়
* চন্দনের সঙ্গে হলুদ বাটা ও কর্প কিংবা দারু হরিদ্রা মিশিয়ে শরীরে মাখলে ঘামাচি দ্রুত সেরে যায়
* বেশি বেশি ঘাম হলে তেজপাতা বাটা গায়ে মেখে আধাঘন্টা পরে গােসল করে ফেললে অত্যধিক ঘাম হওয়া কমে যায় এবং ঘামাচিও কমে যায়৷
* তুলসী পাতা ও দুর্বাঘাসের ডগা বেটে পায়ে মাখলে ঘামাচির চুলকানি কমে
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ
* গৱম ও সাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এ রােগ বেশি হয়
* তেল মাখলে এ রােগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে
* যারা এ রােগে ভুগছেন তারা গরম, স্যাতসেঁতে ও আবদ্ধ পরিবেশ এড়িয়ে চলুন
* প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
ব্রন
এটা ত্বকের একরকম নিজস্ব শারীরবৃত্তীয় প্রকাশ৷ বিশেষ করে গালে, কপালে এমনকি গােটা মুখমণ্ডলেও দেখা যায়৷ অল্পবয়স্ক যুবক - যুবতীর ( teenager ) মধ্যেই বেশি দেখা যায়৷ এন্ড্রোজেন হরমােনের প্রতিক্রিয়ায় ঘর্মগ্রন্থির ক্রিয়া বেড়ে যায়, তখন ব্রণ ওঠা শুরু করে৷ ব্রনে কখনও কখনও তীব্র ব্যথা হয় এবং ইনফেকশন হলে পুঁজের মতাে গুটি দেখা যায়৷
ব্রণের কারণ
* বয়ঃসন্ধিকালে এন্ড্রোজেন হরমােনের গােলযােগ
* বংশগত ধারায় অনেক সময় ব্রণ উঠতে থাকে
* বেশি শর্করা এবং চর্বি জাতীয় খাদ্য খেলে ব্রণ বেশি হয়
* কোন কোন খাদ্যের প্রতি এলার্জি
* অন্তক্ষরা ( Endocrine ) গ্রন্থির গোলযােগ
* মানসিক দুশ্চিন্তা এবং টেনশন
* অতিরিক্ত রাত্রি জাগরণ
* ভিটামিন জাতীয় খাদ্যের অভাব
* পানীয়জল কম পরিমানে গ্রহণ
* হ্যালোজেন বড়ি গােলানাে পানি খেলে
* কোন কোন রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে অতিরিক্ত ঘাম ঝরার মতাে কাজ করলে
* ডিম, দুধ, মাখন, গােমাংস খেলেও অনেক সময় রোগ বাড়ে পরিপাকতন্ত্রের কোন গােলযােগ যেমন- দীর্ঘমেয়াদী কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদি৷
আরো পড়ুনঃ- ত্বকের যত্নে হলুদের উপকারিতা
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ
* বেশি তৈলাক্ত খাবার, শীতল পানীয়, মসলাযুক্ত খাবার, চকলেট প্রভৃতি না খাওয়াই উত্তম
* স্বাভাবিক নরম ঝােলের খাবার খেতে হবে
* মল পরিষ্কার রাখার জন্য রাত্রে ১ গ্লাস পানিতে ইসবগুলের ভুসি ভিজিয়ে খাওয়া যায়
* মুখমণ্ডলে প্রসাধনী না ব্যবহার করাই উত্তম
* হাতের নখ দিয়ে ব্রণ টেপাটিপি করলে বেশি হবে এবং ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে
* প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
একজিমা
একজিমা জটিল ধরনের চর্মরােগ৷ এটি যেখানে হয় সেখানে ত্বকের প্রকৃতিকে বিকৃত করে ত্বকে এক ধরনের ছাড়া ছাড়া নকশার মতাে পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়৷ একজিমার শ্রেণীবিন্যাস ১. বাহ্যিক একজিমা, ২. অভ্যন্তরীণ একজিমা
বাহ্যিক একজিমা দুই ধরনের যথা- ইরিট্যান্ট বা চুলকানির উদ্রেককারী একজিমা ও এলার্জি জাতীয় একজিমা৷
অভ্যন্তরীণ একজিমা বিভিন্ন প্রকারের হয়৷ যথা- এটোপিক একজিমা, সেবােসয়িক একজিমা, ডিসকায় একজিমা ও এটিওটাটিক একজিমা, গ্যাভিশনাল একজিমা, নিউরােডার্মাটাইটিস ও পমকোলিক্স একজিমা৷
একজিমার লক্ষণ
একজিমা আক্রান্ত ত্বকীয় অঞ্চলটি একদম শুষ্ক থাকতে দেখা যায়৷ চাপ দিলে পানি বেরিয়ে আসে৷ কখনো চুলকায়, কখনো চুলকায় না৷ আক্রান্ত স্থানটি কখনাে লালাভ হওয়া কিংবা ফুলে যেতে দেখা যায়৷ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৃত্তাকার দানা, পানিপূর্ণ বৃত্তাকার দানা, কখনাে মনে হয় ত্বক ঝলসে গেছে৷ অনবরত পুঁজ ক্ষরণ হওয়া এবং ত্বক ফেটে যাওয়া৷ ত্বকে আঁশের মতাে ওঠা এবং ত্বক কুঁচকে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়৷
একজিমা নিরাময়ে একক ভেষজ
বাবলাঃ- বাবলা একজিমাতে চমৎকার কাজ করে৷ বাবলা গাছের ছাল একজিমার চিকিৎসায় উপকারী৷ ২৫ মিলিগ্রাম বাবলা ও আমের ছাল ১ লিটার পানিতে সিদ্ধ করা অবস্থায় বাষ্প নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ছ্যাকা দিলে উপকার পাওয়া যায়৷ বাষ্প ত্বকের ওপর আক্রান্ত স্থানে ঘি লাগিয়ে দিলে দ্রুত কাজ করে৷
বুতিয়াঃ- বুতিয়ার বীজ গুড়াে করে তা লেবুর রসে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে একজিমা চুলকানি তাৎক্ষণিক বন্ধ হয়৷ বুতিয়া বীজ কাপড়ে পুটলি বেঁধে গরম করে সেঁক দিলে একজিমাতে চমৎকার কাজ করে৷ তিসির তেল ও চুনের পানি সমপরিমাণ নিয়ে একত্রে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুলে একজিমাতে চমৎকার কাজ করে৷
মাধুকাঃ- মাধুকা একজিমার চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে৷ মাধুকা পাতার রস তিসির তেলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিয়ে ব্যান্ডেজ করলে একজিমা ভাল হতে পারে৷ ৩-৪ ঘন্টা পর এর ফল পাওয়া যায়৷
নিমঃ- নিম পাতা বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করলে যেকোনাে প্রকার একজিমায় উপকার পাওয়া যায়৷ এটা পুলটিস, ডিককশন কিংবা লিলিমেন্ট হিসেবেও ব্যবহার করা যায়৷ নিমপাতা, কাঁচা হলুদ, মেহেদি পাতা একসঙ্গে পেস্ট করে সপ্তাহে ২/৩ বার একজিমাতে লাগাতে হবে৷
আরো পড়ুনঃ- সুস্থ থাকার সহজ উপায়
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ
খাদ্যঃ- কাঁচা লবণ কম খেতে হবে৷ টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না৷ নিম ফুল এক্ষেত্রে উপকারী৷ হলুদ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দু'ভাবেই ব্যবহার করা যায়৷
লাইফ স্টাইলঃ- রােগীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে৷ আক্রান্ত স্থান নিমছাল সিদ্ধ করে তার নির্যাস দ্বারা ধুতে হবে৷ আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিমের পেস্ট লাগাতে হবে৷ ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না৷ গরম ও ভ্যাপসা পরিবেশ বর্জন করতে হবে৷ আঁটসাট কাপড় বর্জন করতে হবে৷ সিনথেটিক নাইলন, টেরিনাইলন ও অন্যান্য কাপড় বর্জন করতে হবে৷
খােস - পাঁচড়া ও চুলকানি
খােস - পাঁচড়া সারকপটিস স্ক্যাবি নামক সংক্রামক জীবাণু দ্বারা হয়৷ এটা একটি পারিবারিক ও ছোঁয়াচে রােগ৷ সুপ্তকাল ২ সপ্তাহ৷ পরিবারের একজনের হলে অন্য সদস্যদেরও হয়৷
খােস পাঁচড়ার লক্ষণ
* প্রথমে শুকনা গােটা, পরে পেকে পুঁজ হয়
* আক্রান্ত স্থান ভীষণ চুলকায় এবং চুলকালে আরাম বােধ হয়
* সাধারণত হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, বগল, কুচকিতে যেসব জায়গায় ভাজ থাকে সেসব জায়গায় হয়
* ছােট ছেলেমেয়েদের মধ্যেই এ রােগ বেশি হয়
* পুং জননতন্ত্র ও স্ত্রী জননতন্ত্রের আশপাশে ও মহিলাদের নিপলে রাত্রে বেশি চুলকাবে৷
একক ভেষজ
দুপুরে গােসলের পূর্বে রসুন ও হলুদ বেটে মিশ্রণ করে শরীরে লাগালে চুলকানির উপশম হয়
* নিমের পাতা সিদ্ধ করে ঐ পানি দিয়ে গা পরিষ্কার করলে চুলকানি থাকে না
* তিল তেলের সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণ নিশিন্দা পাতার রস জ্বাল দিয়ে লাগালে চুলকানি কমে যায়
* কাঁচা হলুদ বাটা ও নিম পাতা বাটার সঙ্গে একটু সরিষার তেল মিশিয়ে ক'দিন গােসল করলে সেরে যায়
* খােস - পাঁচড়া হলে গাঁদা ফুলের রস আধা চামচ করে ২ থেকে ৪ দিন ধরে দিনে দুই বার খেতে হবে এবং শরীরে লাগাতে হবে
আরো পড়ুনঃ- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ
* যেসকল খাদ্য খেলে এলার্জি হয় তা না খাওয়াই উত্তম
* স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণে কোন বাধা - নিষেধ নেই
* পরিবারের সকল সদস্যের কাপড় - চোপড় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
কোন রকম প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে করতে পারেন
Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog