জীবনে সফল হবার ৭টি উপায়

 

আপনি আপনার আসে পাশের যেকোনো জিনিস দেখুন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল বা সামান্য একটা ছাতা এগুলো আবিষ্কার হলো কীভাবে? যিনি ছাতা বানিয়েছেন তিনি নিশ্চয়ই এটা ভেবে শুরু করেনি যে ছাতা কীভাবে বানাতে হয় বরং তার মাথায় এটা এসেছিল যে বৃষ্টির হাত থেকে কীভাবে বাঁচা সম্ভব! সেই উদ্দেশ্য থেকেই তার ছাতা বানানোর আইডিয়াটা এসেছিল৷
আমরা ভুলটা কী করি! আমরা বসে বসে আইডিয়া খুজে বেরাই৷ যখন আইডিয়া তখনি পাওয়া সম্ভব যখন নিজের কাছে কোন নিদিষ্ট উদ্দেশ্য থাকবে৷ আর তারজন্য আপনাকে শুধু আপনার হৃদয়ের কথা শুনতে হবে৷
Ads here
১ঃ- বর্তমান সময়ের একটা প্রধান সমস্যা হলো, আমরা মন থেকে কিছু করতে চাই কিন্তু আমাদের মা-বাবা আমাদের সেই কাজটাতে আমাদের Support করেনা, আর আমরা জানা সর্তেও সেই কাজটা যে আমার বা আমার পরিবারের জন্য ভালো তবুও আমাদের পরিবারের Support না থাকার কারনে আমরা সেই কাজটা করিনা৷ এবার ভেবে দেখার বিষয় হলো এটা যে আমরা আমাদের জীবনে এরকম বহু খারাপ কাজ করেছি যেগুলো আমরা আমাদের পরিবারের কাছে বলতেই পারবোনা আর সেগুলো করাতেও আমাদের পরিবারের Support ছিলনা কিন্তু তবুও আমরা সেগুলো করেছিলাম৷ যদি খারাপ কাজ করা থেকে আমাদের পরিবার আমাদের না আটকাতে পারে তাহলে ভালো কাজ করা থেকে তারা কিভাবে আটকাতে পারে৷ আসল সমস্যাটা মা-বাবা না, আসল সমস্যাটা হলাম আমরা নিজেরাই৷ আমাদের নিজেদের উপর নিজেদের বিশ্বাস নেই৷ আর যদি মা-বাবার কথা বলতেই হয় তাহলে আপনি নিজেই যদি একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারেন তাহলে আপনি একজন ভালো সন্তানও হয়ে উঠবেন, কিন্তু আপনি নিজেই যদি দুঃখী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই একজন ভালো সন্তান হয়ে উঠতে পারবেন না৷ আমাদের মা-বাবা সবসময় এটাই চান যাতে তার সন্তানরা সবসময় খুশি থাকেন৷ তাহলে যে কাজটা করলে আপনি খুশি থাকবেন সে কাজটাই করুন৷

২ঃ- যখন আপনি কোনো কাজে ব্যর্থ হবেন তখন আপনার উচিত খুশি হয়ে যাওয়া৷ কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ যখন আমরা কোনো কাজে ব্যর্থ হয়ে যাই তখন আমাদের কাছে দুটো অপশন থাকে=
১- আমরা হার মেনে নেই৷ ২- অথবা আমরা পুরো শক্তির সাথে আবার উঠে দাড়াই৷
আপনি একবার ব্যর্থ হলেই বুঝতে পারবেন আপনি ঠিক ভুলটা কোথায় করেছিলেন আর সেটা শুধরে নিয়ে আপনি আরো ভালো করে সেই কাজটা করতে পারবেন৷ আর দ্বিতীয় আপনি সেই মানুষ গুলোর থেকে অনেকটা এগিয়ে এসেছেন যারা এখনো শুরুই করতে পারেনি৷ যারা জানেই না যে কী করলে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হবে, আর সবথেকে বড় কথা হলো, সফলতা আসে অভিজ্ঞতা থেকে আর অভিজ্ঞতা আসে ব্যর্থতা থেকে৷
Ads here
৩ঃ- আমাদের সমাজের প্রতিটা মানুষই ডাক্তার, প্রতিটা মানুষই ইন্জিনিয়ার আর প্রতিটা মানুষই পরামর্শ দাতা৷ এখানে আপনাকে প্রতিটা বিষয়ে কিছু না কিছু পরামর্শ ঠিক দিয়ে দিবে কিন্তু আপনার যদি জ্বর হয়ে থাকে তাহলে সেটার জন্য সঠিক পরামর্শ আপনাকে একজন ডাক্তারই দিতে পারবেন আর অনেকে হয়তো অনেকরকম টোটকা দিয়ে দিবেন যেটা হয়তো আপনার জ্বর কমার বদলে আরো বেড়েও যেতে পারে৷ সবার আগে কোন বিষয়ে পরামর্শ নিতে হলে আগে সঠিক লোক খুজে বের করে তার কাছে থেকে সঠিক পরামর্শ নিতে হবে৷ যার কাছে সঠিক বিষয়ে জ্ঞান আছে এবং আপনাকে সেটাই করতে হবে যেটা আপনি করতে চান৷ সঠিক লোকের কাছে সঠিক পরামর্শ নিলে সেগুলো হয়তো আপনাকে অনেকটাই সফলতা পেতে সাহায্য করবে৷

৪ঃ- ছোটবেলায় আমাদের কোন বন্ধু যদি আমাদের খেলনা ভেঙে দিতো তাহলে হয়তো কিছুক্ষণের জন্য তার সাথে লড়াই ঝগড়া করতাম কিন্তু কিছু সময় পরেই আবার তার সাথে খেলা শুরু করে দিতাম৷ কিন্তু যতই আমরা বড় হতে থাকি ততোই কথায় কথায় বিচার করা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হতে থাকে৷ যেমন কোন বন্ধু যদি ৫০০ টাকা ধার নেয় আর ১ সপ্তাহ পরেও যদি না দেয় তাহলে সাথে সাথে আমরা ভাবতে শুরু করে দেই, কী বাজে লোক একটা৷ হয়তো সেই বন্ধুর কোন সমস্যা ছিল তাই সে ফেরত দিতে পারেনি কিন্তু তবুও আমরা না জেনে, তার কাছে না শুনে মনে মনেই তাকে খারাপ ভাবতে শুরু করি আর এভাবেই আমরা আমাদের সম্পর্ককে একের পর এক খারাপ করতে শুরু করি৷ কথায় কথায় সামনের জনকে বিচার করার অভ্যাসটা আমাদের বদলাতে হবে৷ যেখানে বিচার করা প্রয়োজন যেমন, পরেরবার সেই বন্ধুকে আর টাকা ধার দেওয়া ঠিক হবে কিনা সেটা Judge করার আগে আসল সত্যিটা কী সেটা জানতে হবে৷ এমনটা করা ঠিক না যে প্রমান ছাড়া কাউকে মনে মনে কোন কিছুকে সত্যি বলে ধরে নিয়ে কাউকে Judge করা৷

৫ঃ- যদি আপনার নিজের উপর নিজের হাসা কঠিন বলে মনে হয় তাহলে অন্যরা আপনার উপর সহজেই হাসতে পারবেন৷ যদি আপনাকে কেউ অন্যদের চোখে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আপনাকে দেখতে হবে যে এইযে লোকটা আমার ব্যাপারে কথাগুলো বলছে এর মধ্যে কোনটাই কী সত্যি যেখানে সে বার বার খোচা মারার চেষ্টা করছে৷ যদি কিছু সত্যি থেকে থাকে তাহলে সেটাকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে৷ নিজের দূর্বলতাকে সনাক্ত করতে হবে৷ হতে পারে হয়তো আপনি অল্পতেই অনেক রিয়েক্ট করে ফেলেন আর এটাই মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে আপনার পিছনে লাগার জন্য, তো আপনাকে রিয়েক্ট করা বন্ধ করতে হবে আর তার বদলে তাদের সাথে এক হয়ে আপনার নিজের উপর নিজের হাসতে হবে৷ এটা করলে তারা আর আপনাকে নিয়ে মজা করবে না কারণ আপনি তো আর আগের মতো তাদের কথায় রিয়েক্ট করবেন না তার জন্য৷ ফলে আস্তে আস্তে ওরা আপনাকে খেপানো বন্ধ করে দিবে৷

৬ঃ- বেশিরভাগ ক্ষেএে দেখা যায় আমাদের Conference কম থাকার কারনে কোন একটা কাজ করা বন্ধ করে দেই৷ এটা তখনি হয় যখন আমরা কোন ব্যাপারে Motivate হয়ে বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই কিন্তু তারপর চাহিদা অনুযায়ী ফলাফল না আসায় আমরা ভেঙে পড়ি৷ এই সমস্যা থেকে বাচার জন্য আমরা ছোট একটা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারি৷ যতক্ষণ না আপনার ভেতরের সেই Motivation টা বদলে Inspiration এ পরিবর্তন না হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ যতক্ষণ না অবধি এরকম একটা অবস্থায় এসে দাড়াচ্ছে যে আপনি নিজেকে আটকে রাখতে চাইছেন কিন্তু তবুও আপনি নিজেকে আটকে রাখতে পারছেন না ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন আর তারপর ছোট Step নিয়ে শুরু করুন৷
Ads here
৭ঃ- যদি আপনি এই সমাজ বা দেশের জন্য কিছু করতে চান তাহলে সবার আগে নিজেকে বদলে তারপর শুরু করুন কারণ আপনিও এটার একটা অংশ৷ আমরা ভুলটা কী করি, আমরা বাংলাদেশকে বদলানোর চেষ্টা করি, যেটা কিনা শুধু তখনি সম্ভব যখন আপনি নিজেকে বদলাবেন৷ শুধুমাএ Financially না Mentally যখন আপনি Grow করবেন তখনি সেটা সম্ভব৷ তখনি দেশ বদলাবে৷ আমরা মনে করি যাদের কাছে প্রচুর টাকা আছে বা পাওয়ার আছে শুধুমাত্র তারাই দেশকে বদলাতে পারেন, কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা৷ আমাদের দেশে এমন লোক আছে যারা কিনা মাসে ১ লাখ টাকা রোজগার করেন কিন্তু তারপরও তারা গরীবদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন না আবার এমনও মানুষ আছেন যারা মাসে ২০ হাজার টাকা রোজগার করেন এবং সেই টাকা থেকে কিছু টাকা দিয়ে গরীবদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন৷ এখন কথা এটা না যে আপনার কাছে কতো আছে? কথাটা হলো আপনার মন কতো বড়? তো সবার আগে নিজেকে বদলাতে হবে৷