hh

শিথিল লিঙ্গ শক্ত ও দৃঢ় হয় কিভাবে

শিথিল লিঙ্গ শক্ত ও দৃঢ় হয় কিভাবে

লিঙ্গ এমনিতে সবসময় শিথিল বা নেতিয়ে পড়ে থাকে৷ এইসময় এই লিঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব জাতীয় কাজ করতে কোন সমস্যা নেই৷ তবে উত্তেজিত অবস্থায় এই লিঙ্গই লােহার মত শক্ত হয়ে ওঠে৷ নেতিয়ে পড়া লিঙ্গ লক্ষ্য করলে দেখা যায় এর মধ্যে কোনরকম হাড় জাতীয় বস্তুর অবস্থান নেই৷ তাহলে কিভাবে এই নরম কোমল লিঙ্গটি শক্ত ও দৃঢ় হয়ে স্ত্রী - যােনিতে প্রবেশ করে৷ 

আরো পড়ুনঃ- সেক্স ট্রান্সমিউটেশন এর রহস্য

বিজ্ঞানীরা বলেন, কামােত্তেজনার সময়ে পুরুষের শরীরের প্রতিটি শিরা - উপশিরার মধ্যে এক ধরণের তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, এর ফলে জননেন্দ্রিয়ের শিরাগুলি প্রসারিত এবং ফুলে গিয়ে লিঙ্গের মধ্যে উত্তেজনা সঞ্চার হয়৷ লিঙ্গের মাংসপেশীর ফাকে এমন এক একটা ফাঁকা জায়গা পড়ে আছে যা সব লিঙ্গের উত্তেজনার সময় দ্রুত রক্ত সঞ্চারের ফলে শিরাগুলাে ফুলে গিয়ে ভরাট, শক্ত এবং বড় আকার ধারণ করতে পারে৷

 

অনুরূপভাবে যখন উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে যায় অর্থাৎ অনুত্তেজিত অবস্থায় এই মাংসপেশীগুলাে শিথিল হয়ে পড়ে, তখন সেই সংকুচিত লিঙ্গ খুবই ছােট হয়ে পড়ে৷ কামােত্তেজনার সময় শরীরের মধ্যে এক ধরণের বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়ে রক্তের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনার সঞ্চার করে এবং শিরাগুলাের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থকে৷ 

এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ শিরাগুলাে শক্ত - সমর্থ এবং তার গঠন অনুযায়ী বড় আকার ধারণ করে৷ আর একটা জিনিষ লক্ষ্য করবেন, রতিক্রিয়ার আগে আপনার স্ত্রীর কিঞ্চিত শৃঙ্গারের দরুণ কামােত্তেজনা হলে অনেকসময় লিঙ্গ একেবারে সম্পূর্ণভাবে উত্তেজিত হয় না, পরবর্তীকালে আপনার স্ত্রীর যােনিতে সেটা প্রবিষ্ট হওয়ার পরেই কেবল এই উত্তেজনার পূর্ণতাপ্রাপ্তি ঘটে৷ 

আবার রতিক্রিয়া শেষে রাগমােচনের পর উত্তেজনায় ভাঁটা পড়তে থাকলে হঠাৎ একবারেই লিঙ্গ ছােট হয়ে যায় না৷ অনুরূপ ভাবে লিঙ্গ গুটিয়ে যাওয়ার কাজটাও ধীরে ধীরে হয়ে থাকে৷ লিঙ্গ উত্তেজিত হওয়ার কারণ দু'টি- প্রথমত কামােত্তেজনার সময়, এবং দ্বিতীয় মূত্রবেগ বা মলের প্রচণ্ড বেগ হলে পর৷ 

আরো পড়ুনঃ- ওরাল সেক্স বা মুখ মৈথুন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

তবে মল - মূত্র বেগ হলে সব বয়সের পুরুষেরই যে লিঙ্গে উত্তেজনার সৃষ্টি হবে তার কোনাে নিশ্চয়তা নেই৷ অবশ্য শিশু বয়স থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত হামেশাই এরকম ঘটতে দেখা যায়৷ আবার এর মধ্যেও ব্যতিক্রম দেখা দিতে পারে৷ যারা দুর্বল ও বেশীমাত্রায় যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার দরুণ অসময়ে যৌবন হারিয়ে ফেলেছেন, এমন পুরুষের লিঙ্গ উত্তেজিত হয় না৷ 


লিঙ্গের আয়তন

উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য পাঁচ ইঞ্চি থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত হয়৷ আবার কোনাে কোনাে বলিষ্ঠ পুরুষের লিঙ্গ সাড়ে ছয় থেকে সাত ইঞ্চি পর্যন্ত হতে দেখা যায়৷ তবে এ ধরণের লিঙ্গকে ঠিক সাধারণ বলা যায় না, বরং অসাধারণ এবং অস্বাভাবিকই বলা যায়৷ অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য তিন ইঞ্চি থেকে প্রায় চার ইঞ্চির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে৷ তবে এরও ব্যতিক্রম আছে, এর চেয়েও ছােট আকার হয়ে থাকে৷ 

অনুত্তেজিত অবস্থায় আকারে ছােট হলেও এ ধরনের লিঙ্গ যে উত্তেজিত অবস্থায় অপেক্ষাকৃত ছােট হয় তা নয়৷ অনেকের অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের মাপ দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি হলেও চরম উত্তেজিত অবস্থায় মাপ নিয়ে দেখা গেছে, সেটি সাড়ে ছয় ইঞ্চিতে দাঁড়িয়েছে৷ যা কিনা লিঙ্গের স্বাভাবিক মাপ বলে ধরে নেওয়া যায়৷ এর থেকে সামান্য ছােট বা বড় হলে স্বামী - স্ত্রীর যৌন মিলনে সুখের কোনাে রকম ঘাটতি হতে দেখা যায় না৷ 

আরো পড়ুনঃ- জীবনে ব্যর্থতার ৩০ টি কারন

স্ত্রীর সংস্পর্শে এলে সাধারণত স্বামীর মনে কামােত্তেজনা দেখা যায়, কিংবা বলা যায় রতিভাবের উদয় হয়৷ এর ফলে দেহ - মনে নানান ধরনের পরিবর্তন হতে শুরু হয়৷ এই পরিবর্তন সুখের ও আনন্দের৷ এতে দেহ - মনে পুলক শিহরণ জেগে থাকে৷ দেহটা তখন টান - টান হয়ে যায়, মুখ কুঁচকে যায়, চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে, চোখদুটিতে তার আবেগ অনুভূতি হয়ে দেখা যায়৷ 

তবে এই শিহরণের সব থেকে বড় প্রকাশ হলাে লিঙ্গ অনেকের একটা ভুল ধারণা আছে স্ত্রী - জননেন্দ্রিয় একটু বেশী গভীর হলে এবং যদি দেখা যায় যে, রতিকালে পুরুষজননেন্দ্রিয় ( লিঙ্গ ) স্ত্রী - যােনির অভ্যন্তরের শেষ পর্যন্ত না পৌছায় তাহলে রতিক্রিয়ায় পুরুষের সাফল্য সম্ভব নয়, স্ত্রীর আগেই তার রাগমােচন ঘটে যেতে পারে৷ এ ধরণের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল৷ এ ধারণার ফলে স্ত্রী ও স্বামীর উভয়ের মনে বিভ্রান্তি ঘটতে পারে৷ 

আসলে যৌন - মিলনে জয় - পরাজয় ঘটে সম্পূর্ণ অন কারণে৷ সংক্ষেপে বলা যায় যে, ছোট লিঙ্গের ব্যাপারে এ ধরণের ধারণা নেহাতই ভ্রান্ত৷  স্ত্রী - জননেন্দ্রিয়ের পঠনপ্রণালী সরলরেখার মতাে সােজা ও গভীর নয়৷ গহ্বর প্রশস্ত শুধু নয়- বাঁকাভাবে উপরের দিকে উঠে গেছে৷ এর ফলে যৌন - মিলনে লিঙ্গ বাঁকাভাবে জরায়ুর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছে যেতে পারে অনায়াসে৷ 

আরো পড়ুনঃ- স্ট্রোক কী? স্ট্রোক কেন হয়? স্ট্রোক হলে করনীয় কী?

পরিপূর্নয়ন রতিক্রিয়ার জন্যে পুরুষ - লিঙ্গকে স্ত্রী - জরায়ুর শেষপ্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যেতে হবে, তার কোনাে প্রয়ােজন নেই৷ বরং তা করতে গেলে স্ত্রী অহেতুক বেদনা পেতে পারে৷ জরায়ুর মুখকে যদি উত্তেজিত লিঙ্গ সামান্য স্পর্শ করে, তাতেই যথেষ্ট৷ আর একটা কথা বলে রাখি, সমীক্ষায় দেখা গেছে অধিকাংশ নারী রতিক্রিয়ার সময় এটুকুই আশা করে, এর বেশী নয়৷ রতিক্রিয়ায় সময় স্ত্রী - যােনির অভ্যন্তরে তার জরায়ুর মুখ স্পর্শ করার জন্যে ছয় ইঞ্চি বা তদুর্ধ দৈর্ঘ্যের লিঙ্গের যে একান্ত প্রয়ােজন তা নয়, পাঁচ - ইঞ্চিই যথেষ্ট, অন্তত আমাদের দেশের নারীদের পক্ষে তাে বটেই৷ 

কারণ, সফল রতিক্রিয়ায় লিঙ্গের ভূমিকা হলেও আরাে অনেক উপাদান আছে যা লিঙ্গের চেয়ে কোনাে অংশে কম প্রয়ােজনীয় নয় অতএব অধিকাংশ নারীর মতামত নিয়ে আমরা জোর গলায় বলতে পারি যে, লিঙ্গের আয়তন নিয়ে কারাের দুশ্চিন্তা থাকতে পারে না৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যৌন - বিজ্ঞানীরা হাজার হাজার পুরুষের লিঙ্গের আয়তন অনুসন্ধান এবং তা নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে, হাজারে একজনের লিঙ্গও স্বাভাবিক দৈর্ঘ্যের থেকে কোনাে অংশে ছােট নয়৷ 

যৌন - মিলনে অনেক স্বামীর লিঙ্গ পূর্ণ উত্তেজিত হয় না বলে তাদের স্ত্রীর অভিযােগ আছে, এটাও একটা ভ্রান্ত ধারণা, এবং বােধহয় লিঙ্গ ছােট্ট বলেই তিনি তার স্ত্রীকে রতিক্রিয়ার পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেন না, তাঁকে রমন - সুখের চরম পর্যায় পৌছে দিতে পারেন না, তার রাগমোচন ঘটাতে পারেন না কিন্তু, আসল ব্যাপার হলাে, তার স্ত্রী অতিকামুক হতে পারে, তাই তাকে ঠিক মতাে তার জানার ফলেই স্ত্রীকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে সে অসমর্থ হয়৷ 

আরো পড়ুনঃ- কিভাবে একা খুশি থাকা সম্ভব

বিশিষ্ট যৌনবিজ্ঞানী ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ড. শরিফুল হাসান এর বই মেডিক্যাল সেক্স গাইড থেকে নেওয়া 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad