hh

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যেকোন সমস্যার সমাধান

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যেকোন সমস্যার সমাধান

আজকের এই পলিউশন এর যুগে আমাদের চুলে সবার চুলেই হাজার রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ বেশিরভাগ খুব অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি টাক হয়ে যাচ্ছে আবার অনেকের খুব অল্প বয়সেই চুল পেকে যাচ্ছে৷ এই সমস্যা সমাধানের জন্য সাধারণত ঘরে বানানো সম্ভব এমন কিছু পদ্ধতি বলবো যেগুলো আপনি খুব কম খরচে ঘরে বসেই সেগুলো বানাতে পারবেন আর ব্যবহার করতে পারবেন৷ 


নিমপাতা ও তুলসীপাতা

চুল পরার সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হলো খুশকি৷ এই খুশকি কমানোর জন্য সবথেকে ভাল উপায় হলো তুলসি পাতা আর নিম পাতা৷ 


পাতাগুলো ভাল করে ধুয়ে নিন

সেগুলো কে পানি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন

সেটা ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছু ক্ষন রেখে দিন

সেটা ঠান্ডা হয়ে গেলে নিম পাতা এবং তুলসি পাতার পানি ভাল করে মাথায় দিয়ে রাখুন

তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন৷ 

এটা আপনাকে খুশকি থেকে বাচতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে বা আপনি চাইলে শুধু নিমপাতা বাটা বা তুলসি পাতা বাটা মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারুন৷ 

নিয়মিত তেল দিন তবে বেশি তেল দেওয়া খুশকির জন্য ভাল না৷ সবসময় শ্যাম্পু করার ঠিক আগের দিন রাতে বা শ্যাম্পু করার ৩-৪ ঘন্টা আগে তেল দিন৷ ছেলে মেয়ে সবার জন্যই এটা প্রযোজ্য৷ শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে তেল দিলে সবথেকে ভাল হয়, তাছাড়া আর কখনো তেল দিবেন না৷ তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু করার আগেই দিন রাতে তেল দিন৷ 

তেল হলো চুলের খাদ্য তাই একেবারে তেল না দেওয়া টা যেমন ভাল না ঠিক তেমনি একদম কম দেওয়া টাও ভাল না৷ তেল না দেঔয়ায় চুলের আগা ফেটে যায়, যেগুলো কে Splitance বলা হয়৷ কখনো চুলে তেল দিয়ে বাহিরে যাবেন না৷ রাস্তা ঘাটে থাকা ধুলোবালি চুলে ডুকতে থাকে আর তেল থাকায় সেগুলো চুলে আটকে যায় এর ফলে চুল নোংরা হয়ে যায় আর চুল আচরালে চুল পড়ে যায়৷ 


ত্বকের যত্নে হলুদের উপকারিতা


মুলথানি মাটি

এক কাপ টক দই নিয়ে তাতে দুই চামচ আমলকীর পাউডার বা সেটা না হলে আমলা তেল আর ২-৩ চামচ মুলথানি মাটি এবং আধা পাতি লেবু নিয়ে তার রস দিয়ে ভাল করে মিস্ক করে তার পেস্ট বানিয়ে নিন৷ 

টক দইয়ে ভিটামিন V5 আর D থাকে৷ এটা চুলের গ্রন্থি কোষ গুলোকে পুষ্টি দেয় এবং মাথার ত্বককে Antibacterial fungal infection কে প্রতিরোধ করে আর মাথার ত্বকে যে মৃত সেল জমা হয় সেগুলোকে স্তরে স্তরে তুলে ফেলে৷ তাই টক দই খুশকি দূর করার জন্য ভাল একটা উপাদান৷ 

আমলকীতে এন্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন C থাকে যেটা খুশকি কে মাথার ত্বক থেকে সরাতে সাহায্য করে আর মাথার ত্বক কে Healthy বানায়৷ এছাড়া এতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টি মাইক্রোবিয়াল আর এক্টা জিন উপাদান থাকে যেটা মাথার চুলকানি বা মাথার ত্বক লাল হয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে আর চুল পড়া কমায়৷ 

মুলথানি মাটি খুব ভাল মাথা পরিস্কার করতে পারে৷ এটা খুশকি দূর করে চুল পড়া বন্ধ করে৷ এটা মাথার ত্বকে যে তেল আছে এবং ক্ষতিকারন যে টক্সিন আছে, যেগুলোর জন্য মূলত খুশকি হয় সেগুলোকে দূর করে Blood circulation বাড়াতে সাহায্য করে৷ তাই এটা ড্রাই, অইলি সবরকম চুলের জন্যই ভাল৷ 

পাতি লেবুতে ভিটামিন C আর সাইট্রিক এসিড থাকে যেটা খুশকি কে রিমুভ করে মাথার ত্বক কে পুষ্টি জোগান দেয় আর মৃত সেলকে রিমুভ করে মাথার ত্বকের PH মান ঠিক করে আর এতে Antifungal উপাদান থাকে যেটা Fungal infection কে মাথার ত্বক থেকে দূরে রাখে৷ আর এতে healing উপাদান থাকে যেটা মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে৷ যাদের তাড়াতাড়ি চুল পেকে যায় তাদের জন্য পাতি লেবু খুবই উপকারী৷ 

এই পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে মাথার ত্বকে ভাল করে তেল দিন তারপর এটা মাখুন৷ মাথার ত্বক থেকে শুরু করে চুলের আগা গোড়া সব জায়গায়

ভাল করে লাগান এবং ৩০-৪০ মিনিট রাখুন তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন৷ এটা আপনি সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করুন৷ 


সুস্থ থাকার সহজ উপায়


অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার মধ্যে যে জেল থাকে সেটা চেহারার ত্বক এবং চুল দুটোর জন্যই খুব উপকারী৷ অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমানে Vitamins এবং Nutrients পাওয়া যায় যেটা চুলের জন্য খুবই উপকারী৷ এতে Healing উপাদান আছে যেটা Screen burn এর সাথে সাথে আপনার চুলকেও বাঁচায়৷ এতে Proteolytic enzymes থাকে যেটা মাথার ত্বকের মৃত কোষ ভাল করতে সাহায্য করে আর এটা ভাল কন্ডিশনার এর কাজ করে৷ এটা চুল পড়া রোধ করে এবং সাথে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে আর চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয় তাই অ্যালোভেরা খুবই উপকারী একটা উপাদান চুলের জন্য৷ 


 Aloe vera, Anti dandruff 

আপনার চুলের পরিমান অনুযায়ী পাতা নিন এবং বড় চুল হলে ৩-৪ টা পাতা নিন

এবার পাতার ভিতর থেকে জেলি গুলো বের করুন এবার জেলি গুলোর মধ্যে ১-২ চামচ নারিকেল তেল এবং পাতিলেবু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে একটা হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিন৷ 

এটা সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করার আগে লাগান এবং লাগানোর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন৷ নিয়মিত লাগালে আপনি খুশকি থেকে অবশ্যই মুক্তি পাবেন৷ 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়


Aloe vera, Deep conditioners 

অ্যালোভেরা খুব ভালভাবে Deep conditioner এর কাজ করে৷ একচামচ এর মতো অ্যালোভেরা জেলি নিন তারপর এক চামচ Olive oil নিয়ে কন্ডিশনার বানিয়ে নিন এরপর এটাকে ৩০ মিনিট এর মতো চুলে ভালকরে চুলে মেখে নিন তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে আপনার চুল সুন্দর কালো আর শাইনি হবে৷ 


Aloe vera, Hair style 

কোথাও বের হবার আগে এটা লাগান৷ এটা আপনাকে সব রকম তাপ থেকে আপনার চুলকে রক্ষা করবে৷ মার্কেটে যেসব ক্যামিক্যাল জেল পাওয়া যায় তার থেকে ভাল হবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে৷ এতে আপনার চুল পড়বে না এবং রোদে নস্ট হবে না আর এটা নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি চুল পড়ার সমস্যা থেকে অনেক মুক্তি পাবেন৷


ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রন দূর করার উপায়


Home made hair oil

এটা আপনারা অবশ্যই ব্যবহার করবেন৷ এটা চুল পড়া বন্ধ করবে এবং সাথে মাথায় যে টাক হচ্ছে সেটাও ঠিক করবে, খুশকি কমাবে আর অবশ্যই অকালে চুল ঝরে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে৷ 

সবার প্রথমে একবাটি সরিষা তেল নিন তারপর একটা মিডিয়াম সাইজের পেঁয়াজ নিন এরপর সরিষা তেলকে একটা পাএে গরম করে তাতে কুচি করে পেয়াজ গুলো দিয়ে দিবেন এরপর পেয়াজ গুলো আর তেল একসাথে মিশিয়ে গরম করবেন৷ পেঁয়াজ গুলো গোল্ডেন কালার হয়ে গেলে তাতে এক চামচ কালো জিরা দিয়ে দিবেন৷ কালো জিরা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী৷ তারপর পেঁয়াজ গুলো লাল হওয়া অবধি পর্যন্ত নারুন তারপর এটাকে নামিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন৷ 

ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাকনি বা কাপড় দিয়ে তেল টাকে ছেকে একটা বোতলে রেখে দিন৷ এটা ২-৩ মাস পর্যন্ত ভাল থাকবে৷ সরিষা তেলে থাকা Anti oxidants চুলের কোষ গুলোকে সুরক্ষা করে, চুল পড়ে যাওয়া রোধ করে আর Damage চুলকে ঠিক করে চুলে একটা Natural Shine এনে দেয় এবং এতে Fatty acid আছে যেটা চুলকে বাড়াতে সাহায্য করে, চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে আর সাথে একটা চমক এনে দেয়৷ 

পেঁয়াজে থাকা সালফার চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি Blood circular কে বাড়িয়ে তোলে৷ পেঁয়াজে Antibacterial উপাদান থাকে যেটা মাথার ত্বকের Infection গুলোকে সারিয়ে তুলে৷ 

কালো জিরাতে পাওয়ারফুল Anti oxidants, vitamins আর Mineral থাকে যেটা চুল বাড়াতে সাহায্য করে আর তার সাথে সাথে মাথার টাক কেও ঠিক করে৷ এটায় Fatty acid আছে যেটা চুলকে Soft আর smooth বানায় আর তার সাথে সাথে কম বয়সে যে চুল পেকে যায়, সেটাকেও ঠিক করে অর্থাৎ সাদা বা লাল চুলকে কালো বানাতে সাহায্য করে তার অবশ্যই কালো জিরা ব্যবহার করবেন৷ তেল টাকে সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে মেখে সারা রাড বা ৬-৭ ঘন্টা রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলবেন৷ 

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়


Kalo jira hair mask

আপনি এক চামচ জালো জিরা, এক চামচ কালো সরিষা আর এক চামচ মেথি বীজ নিয়ে এক কাপ পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন৷ পরেরদিন পরিমান মতো পানি দিয়ে সব Mixer এ দিয়ে সব পেস্ট বানিয়ে নিন৷ খেয়াল রাখবেন পানি যাতে বেশি না হয়ে যায়৷ পেস্টটি ঘন রাখবেন৷ এরপর পেস্ট টাতে দুই চামচ টক দই দিয়ে সেটা ভাল করে মিশিয়ে মাথার ত্বক থেকে শুরু করে চুলের গোড়া পর্যন্ত লাগান তারপর ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন তারপর চুল শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন৷ আর এটা লাগানোর আগে অবশ্যই চুলে ভাল করে তেল দিয়ে নিবেন৷ 

কালো সরিষাতে প্রচুর পরিমানে Calcium, fatty acid, vitamins E এবং D পাওয়া যায়৷ এটা চুলকে খুব ঘন, শক্ত আর চুলকে বাড়িয়ে তোলে৷ 

মেথি বীজে Vitamin C, Potassium, Nicotinic acid আর Lecithin পাওয়া যায় যেটা গুলোর চুলকে বৃদ্ধি করে, চুল পেকে যাওয়া রোধ করে, খুশকি দূর করে এবং চুলকে ঘন করে৷ 


Post a Comment

1 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. খুব সুন্দর ও দরকারী একটি পোস্ট

    ReplyDelete

Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog

Top Post Ad

Below Post Ad