যেকোনাে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় দেখতে হবে, সেখানে ভদ্রতার স্থান আছে কিনা৷ স্ত্রী যদি স্বামীর প্রতি ভদ্রতা দেখায়, তাহলে আর কোনাে কিছুর দরকার লাগে না৷ ভালোবাসাকে শেষ করতে কড়া কথা হলো ক্যানসারের মতো৷ কড়া ব্যথা থেকেই অবিশ্বাসের জন্ম হয়৷
আরো পড়ুনঃ- কিভাবে বিশ্বাস গড়ে তুলবো
ডরোথী ডিস্ক বলেন — আমরা বাড়ীর লােকেদের সাথেই সবথেকে খারাপ ব্যবহার করি৷ হেনরী ক্রেমিনীর বলেছেন — ভদ্রতা হলো হৃদয়ের একটি গুণ৷ যেটি ভাঙা সদরের বাইরে ফুটে ওঠা মনােলােভা ফুলকে আকর্ষন করে৷ অথচ, ঘরের মধ্যে প্রস্ফুটিত গোলাপকে অবহেলা করে৷ সাধারণ মানুষ কী করে থাকেন? অফিসের কাজে গোলমাল হলে স্ত্রীর ওপর সেই ঝাল ঝাড়েন৷
বস যদি তাকে ডেকে গালাগাল দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি তার ছােটো ছেলেকে আচ্ছা করে মেরে মনের উষ্মা প্রকাশ করেন৷ এটা কি ঠিক? হল্যান্ডে নিয়ম আছে বাড়িতে ঢােকার আগে বাহিরের সিঁড়িতে জুতাে খুলে রাখতে হবে৷ এর অর্থ কী? বাইরের সব ঝামেলা বাইরেই থাকবে৷ ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে তাদের ডুকতে দেবে না৷
উইলিয়াম জেমস একটি প্রবন্ধে লিখেছিলেন — মানুষের মধ্যে একটা অদ্ভুত অজ্ঞতা আছে৷ এই রোগে আমরা সকলেই ভুগি৷ দেখা যায়, বাইরে আমরা ধীরে ধীরে কথা বলছি৷ অথচ, স্ত্রীর সঙ্গে যখন কথা বলি, চেঁচিয়ে বাড়ি মাত করি৷ এমন কেন হবে? যাদের বিবাহিত জীবন সুখে পরিপূর্ণ তারা কিন্তু কখনো এমনটি করেন না৷
তাহলে বিয়ের মধ্যে আমরা কতটা সুখ সঞ্চয় করতে পারবাে? ডরোর্থী ডি বলেছেন — বিনেতে পুরুষের সাফলের সম্ভাবনা শতকরা ৭০ ভাগ বেশী৷ আর স্ত্রীদের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা শতকরা ৩০ ভাগ৷ আসুন, আমার শতাংশের হিসেব নিকেশ ভুলে যাই৷ আমরা জানি, একে অন্যের প্রতি সহানুভূতি হলে তবেই দাম্পত্য জীবন সুখী হয়ে উঠতে পারবে৷
আরো পড়ুনঃ- সত্যিকারের ভালবাসা কোনটি
বিবাহিত জীবনে সুখী হতে হলে, যা করতে হবেঃ-
১ঃ- কখনো বকবক করবেন না৷
২ঃ- সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে অধিকার করার চেষ্টা করবেন না৷
৩ঃ- অযথা সমালোচনা করবেন না৷
৪ঃ- আন্তরিক প্রশংসা করবেন৷
৫ঃ- আপাত তুচ্ছ বিষয়গুলির প্রতি নজর দেবেন৷
৬ঃ- সঙ্গিনীর প্রতি সহানুভূতি দেখাবেন৷
৭ঃ- বিয়ে সম্পর্কে ভালাে ভালাে বই পড়বেন৷
আরো পড়ুনঃ- কিভাবে প্রিয় মানুষকে ভালবাসতে হয়
স্বামীদের জন্য একগোছা উপদেশঃ-
১ঃ- মাঝে মধ্যে স্ত্রীর জন্যে প্রস্ফুটিত গােলাপ নিয়ে আসবেন৷
২ঃ- তার জন্মদিন অথবা বিবাহ বার্ষিকীর তারিখটিকে আলাদা করে মনে রাখবেন৷ সেদিন বাইরে কোনো কাজ রাখবেন না৷
৩ঃ- অন্যের সামনে স্ত্রীকে অমাথা সমালােচনা করবেন না৷
৪ঃ- তার হাতে যথেষ্ট টাকাকড়ি তুলে দেবেন যাতে সে ছোটোখাটো খরচ ইচ্ছে মতো করতে পারে৷
৫ঃ- তার মানসিক অবস্থাটা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন৷
৬ঃ- অবসর সময়টা সম্পূর্ণ তাকে দেবেন৷
৭ঃ- তার রান্নার প্রশংসা করবেন৷
৮ঃ- ত্যর বুদ্ধিবৃত্তির প্রশংসা করবেন৷
৯ঃ- ছােটোখাটো ব্যাপারেও তাকে সম্মান জানাবেন৷
আরো পড়ুনঃ- সত্যিকারের ভালবাসা বুঝার উপায়
স্ত্রীদের জন্যঃ-
১ঃ- স্বামীকে কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করবেনঃ-
২ঃ- গৃহটিকে সাজিয়ে রাখবেন৷
৩ঃ- স্বামী যখন অফিসে যাবে অবশ্যই তাকে বিদায় সম্ভাষণ জানাবেন৷
৪ঃ- স্বামীর ব্যবসা বা চাকরীকে সাধ্যমতাে সাহায্য করবেন৷
৫ঃ- অর্থকরী ব্যাপারগুলি সহজভাবে মেনে নেবেন
৬ঃ- স্বামীর আত্মীয়স্বজনদের সাথে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করবেন৷
৭ঃ- স্বামীর পছন্দমতো পোশাক পরবেন৷
৮ঃ- সারাদিন বাইরে স্বামী কী করেছে, তা জানার চেষ্টা করবেন৷
Related
কিভাবে পছন্দের মানুষকে ভালবাসার মানুষ বানানো যায়
Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog