Rhonda Byrne এর লেখা International Best Selling বই The Secret থেকে বলবো স্বাস্থ্যের রহস্য | কোনকিছুরই নিরাময় অসম্ভব নয়
আমাদের শরীর আমাদেরই ভাবনার ফসল৷ ডাক্তারী শাস্ত্র এখন বুঝতে আরম্ভ করেছে আমাদের ভাবনা এবং আবেগের প্রকৃতি কি পরিমাণে আমাদের শারীরিক সত্তা, গঠন ও ক্রিয়া নির্ধারণ করে৷ আমরা কষ্ট প্রশমনের ক্ষেত্রে প্লসেবাে এফেক্টের কথা জানি৷ প্লাসেবা হল সুগার পিলের মত যার কোন প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া নেই৷
আরো পড়ুনঃ- হলুদের উপকারিতা এবং অপকারিতা
আপনি রােগীকে বলুন যে এটা অত্যন্ত উপকারী, দেখা গেছে যে সত্যিকারের কাজের মতই হয় এই প্লাসেলবার প্রতিক্রিয়া, বরংবিশেষ রােগের জন্য প্রস্তুত ওষুধের চেয়েও হয়ত বেশী হয়৷ ডাক্তাররা দেখেছেন যে রােগ উপশমের ক্ষেত্রে মানবমনের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী, কখনও কখনও ওষুধের থেকেও বেশী৷ আপনি রহস্যের সুবিপুল ক্ষমতার কথা জেনেছেন, তাই আপনি ক্রমে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন মানবজাতির মধ্যে সংঘটিত কিছু ঘটনার অন্তনিহিত সত্য, স্বাস্থ্যও যার অন্তর্গত৷ প্লাসেবাে এফেক্ট খুবই ক্ষমতাশালী৷
রােগী যদি সত্যিই ভাবে এবং বিশ্বাস করে যে ট্যাবলেটটাতে কাজ হবে তাহলে তারা যা বিশ্বাস করে তাই পাবে, তারা সুস্থ হয়ে যাবে৷ রােগ সিরিয়াস এবং প্রাণহরণকারী হলে ওষুধ খাওয়া অবশ্য কর্তব্য, তবে ওষুধ খাওয়ার পরও দেখা উচিত মন কি বলছে৷ ওষুধকে অগ্রাহ্য করা ঠিক নয়৷ কিন্তু ছােটখাট রােগ হলে, বিকল্প পদ্ধতি দেখার সুযােগ থাকে, ওষুধ না মন যা চাইছে৷ প্রত্যেক ধরনের প্রশমনের উপায়েরই একটা নির্দিষ্ট স্থান আছে৷
মনের মাধ্যমে রােগ উপশম ওষুধের সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করে৷ বেদনা থাকলে ওষুধ তার উপশম করে, তার ফলে সেই ব্যক্তি আরও ভালভাবে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে পারেন৷ “পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য ভাবনা” হল এমন কিছু যা যে কোন ব্যক্তি নিজেরাই করতে পারেন, তাদের চারপাশে কি হচ্ছে তাতে কিছু যায় আসেনা৷
আপনি মহাবিশ্বের প্রাচুর্যকে অনুভব করার জন্য যদি নিজেকে উন্মুক্ত করেন, আপনি দেখবেন মহাবিশ্বের আপনাকে দেবার জন্য সব ভালবস্তু রয়েছে — ভাল স্বাস্থ্য, প্রচুর ধনসম্পদ, সুস্থ স্বভাব৷ অনুভব করবেন বিস্ময়, আনন্দ ও আশীৰ্বাদ৷ কিন্তু নেতিবাদী ভাবনার আশ্রয় নিয়ে যদি নিজের দরজা বন্ধ করে রাখেন আপনি অস্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন, ব্যথা অনুভব করবেন, বেদনা বােধ করবেন, আপনার মনে হবে প্রতিটি দিন কাটানাে যেন যন্ত্রণাদায়ক৷
আরো পড়ুনঃ- মনের শক্তি দিয়ে নিজেই নিজের সেবা করুন
আমাদের শরীরতন্ত্র রােগ সৃষ্টির মাধমে এটাই জানায় যে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভারসাম্যহীন অথবা আমরা ভালবাসতে ও কৃতজ্ঞ হতে পারছি না৷ শরীরের সংকেত ও লুণগুলি তাই ভয়ানক কিছু নয়৷ ডঃ দিমারতিনী আমাদের একথাই বলছেন যে প্রেম ও কৃতজ্ঞতা আমাদের জীবনের সমস্ত রহস্য নেতিবাচকতাকে, তা সে যে আকারই নিয়ে থাক না কেন, বিগলিত করে৷ ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা সাগরকে বিভক্ত করে, পাহাড়কে চলমান করে, জাদু রচনা করে৷ ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা সব রােগ বিদূরিত করতে পারে৷
যে প্রশ্ন প্রায়ই করা হয়ে থাকে তা হল “যখন কোন মানুষের দেহ মন্দির কোন রােগের প্রকাশ ঘটে কোন ধরনের অস্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে তখন কি তাকে সঠিক ভাবনার শক্তি দিয়ে বদলে দেওয়া সম্ভব? ” নিশ্চিত উত্তর হল, হ্যা৷
হাসি হল সেরা ওষুধ ক্যাথি গুডম্যান
একটি ব্যক্তিগত গল্প আমার স্তনে ক্যান্সার ধরা পড়ে৷ আমি আমার হৃদয়ের মধ্যে থেকে সত্যিই বিশ্বাস করতাম, আমার প্রবল আস্থা ছিল যে আমি ইতিমধ্যেই সেরে গিয়েছি৷ প্রত্যেকদিন আমি বলতাম “আমার সুস্থ হয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ৷ বারবার, বারবার, বারবার বলে গিয়েছি “আমার সেরে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ৷
আমি অন্তর থেকে বিশ্বাস করতাম আমি সেরে গিয়েছি৷ আমি নিজেকে দেখতাম যেন কোনদিন আমার ক্যান্সার ছিল না৷ আমি নিজেকে সারাবার জন্য একটা কাজ করতাম তা হল খুব মজার মজার সিনেমা দেখা৷ আমরা কেবল হাসতাম, হাসতাম আর হাসতাম৷ জীবনে কোন চাপ নিতাম না কারণ আমরা জানতাম যখন নিজেকে সুস্থ করে তােলার চেষ্টা করা হয় তখন মানসিক চাপ সবচেয়ে ক্ষতিকর৷
আরো পড়ুনঃ- প্রাচীন সময়ের রোগ নিরাময় পদ্ধতি
আমার রােগ নির্ণয় থেকে রােগমুক্তি পর্যন্ত মােট তিনমাস সময় লেগেছে৷ কোন কেমােথেরাপি লাগে নি৷ ক্যাথি গুডম্যানের এই সুন্দর ও অনুপ্রেরণাদায়ক গল্পটি তিনটি চমৎকার শক্তির সক্রিয়তা দেখায়৷ উপশমের ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতার শক্তি, যা চাই তাকে গ্রহণ করার জন্য আস্থার শক্তি এবং আমাদের শরীর থেকে রােগ দূর করার ক্ষেত্রে হাসি ও আনন্দের শক্তি৷ নরম্যান কাজিনের গল্প শুনে ক্যাথি অনুপ্রাণিত হয়েছিল হাসিকে তার সেরে ওঠার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে৷
নরম্যানের একটা রােগ হয়েছিল যার নিরাময় অসম্ভব ছিল৷ ডাক্তার বলেছিলেন তার কয়েক মাস মাত্র আয়ু আছে৷ নরম্যান স্থির করেন নিজেই নিজের চিকিৎসা করবেন৷ তিনমাস তিনি যা করেছিলেন তা হল হাসির ফিল্ম দেখা, হাসা, হাসা আরহাস৷ রােগ তিন মাসে তার দেহ ছেড়ে পালিয়েছিল এবং ডাক্তাররা একে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনাবলেছেন৷ নরম্যান যত হাসতেন তত তিনি তার ভিতরের নেতিবাচকতাকে বের করে দিতেন, এভাবে বের করে দিয়েছিলেন তার রােগকেও, হাসি সত্যিই সেরা ওষুধ৷
আমরা সবাই অন্তরে প্রথিত এক মূলীভূত প্রােগ্রামসহ আসি৷ একে বলে “স্বয়ং নিরাময়৷ আপনার যদি কোন ক্ষত হয় তবে তা আবার ঠিক হয়ে যায়৷ আপনার যদি কোন জীবাণুঘটিত রােগ হয় তবে প্রতিরােধশক্তি তার যত্ন নেয় এবং সারিয়ে তােলে৷ প্রতিরােধ ক্ষমতা এই জন্যই তৈরী হয়েছে৷
যে শরীরে স্বাস্থ্যকর আবেগের বসতি সেই শরীরে রােগ বাস করতে পারে না৷ আপনার দেহ প্রতি সেকেন্ডে লাখ লাখ কোষকে শরীর থেকে বের করে দেয় ও একই সঙ্গে লাখ লাখ কোষ সৃষ্টি করে৷ আমাদের দেহের কিছু অংশ প্রত্যেকদিনই বদলে যাচ্ছে৷ অন্যান্য কিছু অংশ কয়েক মাস পরপর বদল হচ্ছে, বাকি অংশ কয়েক বছরের পরপর৷ কিন্তু প্রতি কয়েক বছর অন্তর আমরা একটা নতুন দেহ পাই৷
বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে প্রতি কয়েক বছর অন্তর আমাদের দেহ সম্পূর্ণ বদলে যায়৷ তাহলে ক্ষয় বা অসুস্থতা কিভাবে বছরে পর বছর থাকে? এটা সম্ভব হয় আমরা অসুস্থ ভাবি বলে, অসুস্থতার প্রতি নজর দিই এবং মনােযােগ দিই বলে৷ পরিপূর্ণতার ভাবনা ভাবুন পূর্ণতার ভাবনা ভাবুন৷ যে দেহে সামাঞ্জস্যপূর্ণ ভাবনা থাকে সে দেহে অসুস্থতা থাকতে পারে না৷ আপনি যখনই পূর্ণতায় স্থিত হবেন তখনই আপনি সুস্থতাকে জীবনে আহ্বান করে আনবেন৷
আরো পড়ুনঃ- আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতের মুঠোয়
অপূর্ণ ভাবনাই মানবজাতির অসুস্থতার কারণ— দৈহিক রােগ, দারিদ্র্য এবং অসুখীবােধ সবই এর অন্তর্গত৷ নেতিবাদী ভাবনা যখন ভাবি তখন আমরা আমাদের শক্তিশালী ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হই৷ সােচ্চারে বলুন এবং ইচ্ছা করুন “আমি আদর্শের ভাবনা ভাবি৷ আমি কেবল আদর্শকেই দেখি, আমি আদর্শ৷” আমি আমার শরীর থেকে সমস্ত কাঠিন্য ও কর্মক্ষমতার অভাবকে তাড়িয়ে দিয়েছি৷
আমি আমার দেহকে দেখি যেন শিশুর মত নমনীয় এবং পূর্ণ, ফলে সমস্ত সন্ধির ব্যথা ও কাঠিন্য দূর হয়ে গেছে৷ এই কাজ আমি রাতারাতি করেছি, এ কথা পুরােপুরি সত্যি৷ বার্ধক্যের ধারণাও আমাদের মনেরই তৈরী৷ বিজ্ঞান বলে যে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আমরা একটি সম্পূর্ণ নতুন শরীর লাভ করি৷ বার্ধক্য হল স্বল্প জ্ঞানের ফল৷ কাজেই এসব ভাবনা মন থেকে দূর করুন, আপনার দেহকে মাত্র কয়েক মাসের পুরানাে বলে জানুন৷
আপনি ইতিমধ্যে কতগুলি জন্মদিনের আয়ােজন করে এসেছেন তাতে কিছু যায় আসেনা৷ এর পরের জন্মদিনে নিজের একটি উপকার করুন, সেটিকে আপনার প্রথম জন্মদিন বলে ভাবুন৷ নিজের বার্ধক্য ডেকে আনতে না চাইলে ষাট টা মােমবাতি জ্বালবেন না৷ আপনি আপনার নিজের মত করে আদর্শ স্বাস্থ্য, আদর্শ শরীর, আদর্শ ওজন এবং অনন্ত যৌবনের কথা ভাবুন৷ নিরন্তর এই ভাবনার মধ্যে দিয়ে এদের আপনি আপনার জীবনে ডেকে আনতে পারেন৷
এখন মনকে বিশ্বাস করুন
১. নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিবেন আপনার রােগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে আপনার অবচেতন মনের মধ্যেই৷
২. জানবেন বিশ্বাস হলাে জমিতে রােপণ করা বীজের মতাে৷ আইডিয়া নামের বীজটি আপনার মনে রােপণ করুন, প্রত্যাশার জল ঢেলে একে উর্বর করে তুলুন, এটি উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠবে৷
৩. নিজের আইডিয়া, প্ল্যান অথবা আবিষ্কারের বাস্তবতায় বিশ্বাস করুন৷ তা করলে এটি উৎপাদনশীল হয়ে উঠবে৷
আরো পড়ুনঃ- শিথিল লিঙ্গ শক্ত ও দূঢ় হয় কিভাবে
৪. অন্যদের জন্য প্রার্থনা করুন, জানবেন আপনার ভেতরকার সজীবতা, সৌন্দর্য এবং পারফেকশন অন্যদের অবচেতন মনের প্যাটার্ন বদলে দিয়ে চমৎকার ফলাফল নিয়ে আসবে৷
৫. বিভিন্ন মন্দিরে অলৌকিক রােগ নিরাময়ের যেসব ঘটনার কথা আপনি শুনতে পান তা আসলে কল্পনা এবং অন্ধবিশ্বাস যা অবচেতন মনের ওপর কাজ করে এবং রােগমুক্তির শক্তি রিলিজ করে৷ সকল রােগের উৎপত্তি মনে৷ মেন্টাল প্যাটার্ন এতে সাড়া না দেয়া পর্যন্ত শরীরে রােগ ফুটে ওঠে না৷
৬. আপনাকে সম্মােহন করে প্রায় যে কোনাে রােগের লক্ষণ আপনার ভেতরে উৎপন্ন করা যায়৷ এটি আপনার চিন্তা শক্তির প্রমাণ দেখায়৷
৭. রােগ নিরাময়ের একটিই মাত্র উপায় আছে আর তা হলাে বিশ্বাস৷ রােগমুক্তির একটিই মাত্র শক্তি রয়েছে আর তা হলাে আপনার অবচেতন মন৷
৮. আপনার বিশ্বাসের বিষয়বস্তু সত্য হােক বা মিথ্যা, আপনি অবশ্যই ফল পাবেন৷
৯. আপনার অবচেতন মন আপনার চিন্তায় সারা দেবে৷ বিশ্বাসকে আপনার মনে চিন্তা হিসেবে স্থান দিন, সেটুকুই যথেষ্ট৷
শেষকথাঃ- তুমি যাহা আকাঙ্খা করো, প্রার্থনার সময় যদি তুমি বিশ্বাস করো যে তুমি উহা পাইবে, তবে অবশ্যই পাইবে৷
আরো পড়ুনঃ- সুস্থ থাকার সহজ উপায়
সুখের ভাবনা নিশ্চিত ভাবেই সুখী জৈবরসায়নে নিয়ে যায়৷ একটি সুখী, স্বাস্থ্যপূর্ণ শরীর৷ নেতিবাচক ভাবনা এবং চাপ আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কের ক্রিয়ার যে ক্ষতি করে তা অত্যন্ত সিরিয়াস৷ কারণ আমাদের ভাবনা ও আবেগ প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরকে নতুন করে সম্মিলিত ও সংগঠিত করছে এবং সৃষ্টি করছে৷ আপনি আপনার শরীর সম্পর্কে কি ভাব প্রকাশ করছেন তাতে কিছু যায় আসে না৷
আপনি তা বদলে ফেলতে পারেন— ভিতরেও বাইরেও৷ সুখের ভাবনা ভাবতে শুরু করুন এবং সুখী হন৷ সুখ হল একটা অনুভবগম্য অবস্থা৷ আপনার আঙুল এখন রয়েছে “সুখ অনুভব করুন” -এর বােতামে৷ এতে চাপ দিন এবং দৃঢ়ভাবে চাপ দিতে থাকুন, আপনার চারদিকে কি ঘটছে তাতে কিছু যায় আসেনা৷
জনসন শারীরিক কষ্টকে শরীর থেকে দূর করে দিন তবেই সে তাই করবে যা করার জন্য সে নির্মিত হয়েছে৷ নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলবে৷ আমাদের একটা রােগ থেকে মুক্ত হবার জন্য লড়াই করার কোন দরকার নেই৷ কেবলমাত্র নেতিবাচক ভাবনাকে চলে যেতে দেওয়ার সরল প্রক্রিয়া থেকেই আপনার শরীরের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে৷
কোনকিছুরই নিরাময় অসম্ভব নয়
আমি সবসময়েই বলি নিরাময় অসম্ভব কথার অর্থ হল “ভিতর থেকে সারাতে হবে৷” আমি জানি এবং বিশ্বাস করি যে কোন কিছুই সারানাে অসম্ভব নয়৷ কোন না কোন সময়ে প্রত্যেকটি নিরাময় - অসাধ্য রােগও সেরেছে৷ আমার মনে এবং আমার তৈরী জগতে “সারানাে অসাধ্য” -র কোন অস্তিত্বই নেই৷
এই জগতে আপনার জন্য অঢেল জায়গা আছে, আসুন আমার সাথে এবং আরও যারা এখানে রয়েছেন তাদের সবার সাথে যােগ দিন৷ এটা একটা দুনিয়া যেখানে প্রতিনিয়ত “আশ্চর্য সব ঘটনা ঘটছে৷ এই জগতে প্রাচুর্যের পূর্ণস্রোত প্রবাহিত হয়ে চলেছে, যেখানে সব ভাল বস্তুর অস্তিত্ব এখন আপনার মধ্যেই রয়েছে৷ স্বর্গের মত শােনাচ্ছে, তাইনা? হ্যা , তাই - ই৷
রহস্যের সারসংক্ষেপ
★ আকর্ষণের নীতির সক্রিয় থাকার একটি উদাহরণ হল প্লাসেবাে এফেক্ট৷ একজন রােগী যদি সত্যিই বিশ্বাস করে যেওষুধটা কাজ করবে তাহলে সে বিশ্বাস করে তাই পায় এবং সেরে ওঠে৷
আরো পড়ুনঃ- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
★ “আদর্শ স্বাস্থ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা একটা বিষয় যা আমরা সকলেই আমাদের নিজেদের ভিতরেই করতে পারি, বাইরে যাই ঘটুক না কেন৷
★ হাসি আনন্দকে আকর্ষণ করে, নেতিবাচকতাকে দূর করে এবং আশ্চর্যজনক আরােগ্য এনে দেয়৷
★ ও অসুস্থতা দেহে আসে ভাবনার মাধ্যমে৷ রােগ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এবং অসুস্থতার প্রতি মনােযােগ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে৷ একটু খারাপ বােধ করলে সে কথা কাউকে বলবেন না — যদিনা আপনি একে আরও বেশী করে টানতে চান৷ কেউ তার রােগের কথা বললে যদি শােনেন তবে তার রােগে আপনি আরও শক্তি যােগাবেন পরিবর্তে আলােচনাকে ভাল বিষয়ে ঘুরিয়ে দিন এবং তাকে সুস্থদেহ দেখার জন্য শক্তিশালী ভাবনা যােগান৷
★ বার্ধক্য সম্পর্কিত বিশ্বাস আসলে সবটাই আমাদের মনের ব্যাপার৷ এই ভাবনাকে আপনার চেতনা থেকে বের করে দিন৷ স্বাস্থ্য এবং অনন্ত যৌবনের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ করুন৷
★ রােগ এবং বার্ধক্য সম্পর্কে লােকের কথা শুনবেন না৷ নেতিবাদী বার্তায় আপনার কোন কাজ হবে না৷
Your writing is too impressive.
ReplyDeleteThanks for your comment. Stay with us for more. Our Facebook page.
ReplyDeletewww.facebook.com/jibonsomossa.blog
Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog